নিবন্ধনভুক্ত হয়ে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষিত হওয়ার আহ্বান

111
কক্সবাজার প্রতিনিধি :
জেলার বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গারা। এসব রেহিঙ্গাকে সরকারের চলমান ‘অনিবন্ধিত মিয়ানমার নাগরিক শুমারী’ কর্মসুচিতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সবদিক দিয়ে সুরক্ষিত করার আহবান জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা সচিব কে.এম মোজাম্মেল হক।

১১ জুন সকালে উখিয়ার কুতুপালং অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে এ আহবান জানান তিনি। এসময় তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের দেশের বোঝা হিসাবে আখ্যায়িত করা হলেও সরকার তাদের অধিকার ও মর্যাদা দিতে বদ্ধপরিকর। সেকারণে দেশব্যাপী নিবন্ধন কার্যক্রম চলছে। আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত চলমান নিবন্ধন প্রক্রিয়া চলবে বলেও জানান তিনি।

এ সময় তার সাথে ছিলেন আরাকানি রোহিঙ্গা শরণার্থী কল্যাণ পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাস্টার আব্দুর রহিম, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার শাহ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক এনামুল হক, সাদ্দাম, আকতার প্রমুখ।

গত ফেব্রুয়ারীতে শুমারীর পাইলট প্রকল্পের কাজ আরম্ভ হয়। বর্তমানে চলছে চূড়ান্ত ডাটাবেজ তৈরীর কাজ। গত ২ জুন থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসুচিকে সফল করতে পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাথে একাত্ম হয়ে কাজ করছে আরাকানি রোহিঙ্গা শরণার্থী কল্যাণ পরিষদ। তারা দেশের ৬টি জেলায় রোহিঙ্গা অধ্যুষিত জনপদ, পাড়া-মহল্লায় গিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শনিবার শহরের বাদশাঘোনা, ঘোনারপাড়া, বৈদ্যঘোনা, কলাতলী, পাহাড়তলী এলাকায় অন্তত একশ রোহিঙ্গা পরিবারকে নিয়ে উদ্বুদ্ধকরণ সভা হয়েছে।
পরিসংখ্যান ব্যুরো’র জোনাল অফিসার জুবাইর এর উপস্থিতিতে এসব সভায় শুমারীতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ব্যাপক সুফলের কথা তুলে ধরা হয়। বলা হয়, তারা (রোহিঙ্গারা) ইতিহাসের বর্বরতম নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ ও সম্ভ্রম বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা বাংলাদেশের বোঝা হিসাবে থাকতে চান না। নিবন্ধনের মাধ্যমে তারা নিজস্ব পরিচয় নিশ্চিত করতে চান।

এদিকে শুমারী উপলক্ষে আরাকানি রোহিঙ্গা শরণার্থী কল্যাণ পরিষদের বিলি করা প্রচারপত্রে লিখা হয়েছে, নিবন্ধন না থাকায় সব দিক থেকে তারা বঞ্চিত। কোন জায়গায় মূল্যায়ন নাই। বিনা চিকিৎসায় অনেক লোক মারা যাচ্ছে। চলাফেরা করতে গিয়ে বাংলাদেশের প্রচলিত বৈদেশিক নাগরিক আইনে তাদের লোকজন আটক হচ্ছে। শুমারীতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে অনেক জটিলতার অবসান ঘটবে এবং রোহিঙ্গাদের জীবনমান উন্নয়নে সম্ভাবনার পথ খুলে যাবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন