পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে মহালছড়ির একই পরিবারের তিন ভাইবোন
খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলার মহালছড়ি খাগড়াছড়ি সংযোগ সড়কের কাটিং টিলায় বিকলাঙ্গ হয়ে যাচ্ছে একই পরিবারের তিন ভাইবোন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মৃত. মো. ফুল মিয়া ও মোছা. মরিয়ম বেগমের তিন সন্তান এক ছেলে ও দুই মেয়ে। বড় ছেলে রনি হোসেন (১৯) ইতিমধ্যেই বিকলাঙ্গ হয়ে পঙ্গু হয়ে গেছে, কোনো রকম খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটে। হাঁটতে গেলে দুই পা এক সাথে জড়িয়ে যায়, তার সাথে কথা বলে জানা যায় তার কোমর থেকে নিচ পর্যন্ত অবশ হয়ে গেছে। বাকি দুই মেয়ে ফাতেমা আক্তার (১৪), সুমাইয়া আক্তার (৫) তারাও পঙ্গু হওয়ার পথে। ধীরে ধীরে তাদের পঙ্গু হওয়ার লক্ষন প্রকাশ পাচ্ছে।
মরিয়ম বেগম বলেন, তার ছেলেমেয়েরা জন্ম থেকে এই রকম ছিলো না বড় হতে হতে এই লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায়। তিনি আরো বলেন সময় মতো চিকিৎসা পেলে হয়তো তার ছেলেমেয়েদের পঙ্গুত্ব বরণ করতে হতো না, কিন্তু তার মত দরিদ্র পরিবারের পক্ষে চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়।
তার স্বামী মারা গেছে কয়েক মাস আগে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি এখন তিনি, দিনে আনে দিনে খায়। তার ছেলে মেয়েরা সরকারের কাছেও কোনো প্রতিবন্ধী ভাতা পায় না। এই জন্য তিনি সরকারের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন।
কাটিং টিলার এলাকাবাসী কামাল হোসেন বলেন, তারা যদি সঠিক সময়ে সরকারের সহযোগিতা না পায় তাহলে পরিবারটি শেষ হয়ে যাবে।
এই বিষয়ে ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নিহার কান্তি চাকমার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন যাতে তারা প্রতিবন্ধী ভাতা পায়। মাইসছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান সাজাই মারমা বলেন, আগামী বাজেটে তাদেরকে প্রতিবন্ধী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এই বিষয়ে মহালছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকতা ডা. মুহাম্মদ মিজবাহুল আলম বলেন, উনি রোগীকে দেখেছেন প্রাথমিকভাবে তিনি এই রোগটাকে বংশগত রোগ বলে ধারণা করছেন। তিনি রোগীদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে এম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দেওয়ারও আশ্বাস দেন।