পার্বত্য মন্ত্রীর আন্তরিকতায় পাল্টে যাচ্ছে বাইশারীর আলীক্ষ্যং এলাকার চিত্র

fec-image

পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের আলীক্ষ্যং এলাকা উপজেলার প্রত্যন্ত জনপদ হলেও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বাবু বীর বাহাদুরের আন্তরিকতায় পাল্টে যাচ্ছে আলীক্ষ্যং গ্রামের চিত্র। ঘুরে যাচ্ছে অর্থনীতির চাকা। পরিবর্তন হবে হাজারো মানুষের ভাগ্য এমনটাই জানালেন আলীক্ষ্যং এলাকার বাসিন্দারা। ইতোমধ্যে এই দুর্গম জনপদে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ এর আলো। এসব পার্বত্যমন্ত্রীর সুদৃষ্টি ও অবদানের কথা স্বীকার করেছেন অব. শিক্ষক সামসুল আলম সহ আরো অনেকে।

ইদগড় -আলীক্ষ্যং হেডম্যান পাড়া বৌদ্ধ বিহার ভায়া মিরঝিরি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সড়কের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। সড়কটি নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হলে পাল্টে যাবে আলীক্ষ্যং এর চিত্র। ভাগ্যের আমুল পরিবর্তন আসবে হাজারো মানুষের।

নাইক্ষ্যংছড়ি এলজিইডির বাস্তবায়নে ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নীল এন্ড হেনা কনস্ট্রাকশনের তত্বাবধানে দীর্ঘ ৮ কি.মি. সড়কের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রায় ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে কার্পেটিং দ্বারা উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা জসিম উদদীন জানান, গুণগত মান ঠিক রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কোন ধরনের অনিয়মের আশ্রয় আমরা নিবনা।

নাইক্ষ্যংছড়ির এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, সার্বক্ষণিক আমার লোকজন সড়কের কাজ তদারকি করছেন। কোন ধরনের অনিয়ম মেনে নেওয়া হবেনা। নো কম্প্রোমাইজ নীতিতে আমাদের কাজ চলবে। কোন ধরনের ছাড় নয়। প্রয়োজনে ২য় বার কাজ করে নেব।

বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আলম কোম্পানি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী বাবু বীর বাহাদুর এমপি মহোদয়ের আন্তরিকতা ও ভালবাসায় শুধু আলীক্ষ্যং সড়ক নয় বাইশারী ইউনিয়নের আনাচে-কানাচে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ, রাস্তাঘাট, মসজিদ, মন্দির, বৌদ্ধ বিহার ও বিদ্যুৎ সহ নানামুখী উন্নয়ন হয়েছে এবং চলমান রয়েছে।

সরজমিনে দেখা যায়, মাত্র একটি সড়ক নির্মাণের ফলে পাল্টে যাচ্ছে আলীক্ষ্যং গ্রামের চিত্র। ঘুরে যাচ্ছে অর্থনীতির চাকা। পরিবর্তন হবে হাজারো মানুষের ভাগ্য। সড়কটি পুরো নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হলে সরকার পাবে লাখ টাকার রাজস্ব। আয় হবে কয়েক কোটি টাকারও বেশি। সড়কের দু’পাশে রয়েছে হাজার একর রাবার বাগান। সড়ক নির্মাণ হলে রাবার আর কাঁধে বহন করা লাগবেনা। এছাড়া পাহাড়ের উৎপাদিত পণ্য সহজেই বাজারজাত করে সাধারণ মানুষের আয় হবে প্রচুর টাকা ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন