পেকুয়ায় যুবলীগ সভাপতির বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, আহত ১

fec-image

পেকুয়ায় যুবলীগের সভাপতির বাড়ীতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় মুহাম্মদ ইদ্রিস (২৯) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা। আহত ইদ্রিসকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহত ইদ্রিস যুবলীগ সভাপতি রিয়াজ খান রাজু চাচাত ভাই ও আবুল কাসেমের পুত্র।

ঘটনাটি ঘটে সোমবার (১৯ এপ্রিল) রাত দেড়টার দিকে উপজেলা রাজাখালী ইউনিয়নের রব্বতআলী পাড়াস্থ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রিয়াজ খান রাজু ও তার চাচার বাড়িতে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালিয়েছে।

আহত ইদ্রিস বলেন, রাত ১১টার দিকে রাজাখালীর সবুজ বাজারস্থ আমার মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যায়। প্রচুর গরমে বাইরে হাটতে বের হয়ে দেখতে পায় রাজাখালীর টেকঘোনা এলাকার ছৈয়দুল হকের ছেলে নেজাম উদ্দিন, রফিকের ছেলে মানিক, ছৈয়দ মিয়ার ছেলে সাহাব উদ্দিন, মাহবুব আলম, তারেক ও রহিমসহ সংঘবদ্ধ প্রায় ২০/২৫ জনের একদল সন্ত্রাসী আমাদের বাড়িতে প্রবেশের চেষ্টা করে। ওই সময় আমার চিৎকারে আমার ভাই রাজাখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রিয়াজ খান রাজু ঘর থেকে বের হলে দুইজনকে প্রাণে হত্যার চেষ্টা চালায়। ওই সময় ভাই প্রাণে রক্ষা পেলেও আমাকে কুপিয়ে জখম করে চলে যায় তারা।

ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রিয়াজ খান রাজু বলেন, মদ ও ইয়াবাসেবী সন্ত্রাসী নেজাম উদ্দিন ও তার বাহিনীর অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। দোকান, ঘরবাড়ি ও রাস্তায় চলাচলকারী লোকদের কাজ থেকে চুরি ও ছিনতাই হলো তাদের প্রধান পেশা। এছাড়াও স্থানীয়রা বসতঘর তৈরি করলে তাদেরকে দিতে হয় চাঁদা।

এর আগে প্রবাসী আলী হোসেনের কাজ থেকে চাঁদা দাবি করায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। শাহাদাত হোসেন নামে এক ব্যক্তিও তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে। এছাড়াও কিছুদিন আগে নেজাম উদ্দিন গং অবৈধ অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে এক পরিবারের উপর হামলা চালালে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

তাদের এমন অপকর্মে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ করলে তাদেরকে মারধর করে আহত করে। সবুজ বাজারে মদ ও ইয়াবা সেবন করে চুরি ছিনতাই শুরু করলে আমার চাচাতো ভাই ইদ্রিসসহ আমরা তার প্রতিবাদ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে রাতের আধারে বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালায়। এসময় টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয় তারা। এঘটনার পরপরই পেকুয়া থানার এএসআই জসিম একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এঘটনায় আহতকে নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এখনো থানায় এজাহার দিতে পারেনি বলে জানান এ যুবলীগ নেতা।

পেকুয়া থানার এএসআই জসিম উদ্দিন বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। প্রাথমিকভাবে তদন্ত করেছি।

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) কানন সরকার জানান, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। এখনো লিখিত কোন অভিযোগ পায়নি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন