খাগড়াছড়িতে প্রতারিতদের সাংবাদিক সম্মেলন

প্রতারক দম্পতির বিরুদ্ধে বিদেশ পাঠানোসহ মিথ্যা প্রলোভনে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

fec-image

খাগড়াছড়িতে প্রতারক দম্পতি মো: রিপন ও জোসনা আক্তারের বিরুদ্ধে বিদেশ পাঠানোসহ নানা মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে অর্ধশতাধিক সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হওয়ার অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দিতে গেলেও অভিযোগ গ্রহণ করেনি এমন অভিযোগ ভূক্তভোগিদের। প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে অনেক নারীর সংসার ভেঙ্গে গেছে। অনেকের সংসার ভাঙ্গার পথে।

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) সকালে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে ভূক্তভোগি পরিবারবর্গের সদ্যরা আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এমন অভিযোগ করে বলেন, ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা প্রতারক দম্পতি মো: রিপন ও জোসনা আক্তার ১৫ বছর আগে খাগড়াছড়ি এসে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে। পরবর্তিতে এলাকার সাধারণ মানুষকে সিঙ্গাপুর পাঠানোসহ নানা মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া শুরু করেন। এক পর্যায়ে গত ২৩ সেপ্টেম্বর পালিয়ে যায়। সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন,রাবেয়া সুলতানা পদ্ম, ফুল বানু ও মরিয়ম বেগম।

সাংবাদিক সম্মেলনে নারী কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। খাগড়াছড়ি পৌর শহরের নেন্সী বাজারের বাসিন্দা মুন্সী মিয়া ড্রাইভারের স্ত্রী ফুল বানু
অভিযোগ করেন, তার স্বামীকে সিঙ্গাপুর পাঠানোর কথা বলে, চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি ৫০ টাকার স্ট্যাম্পের মাধ্যমে অঙ্গিকার দিয়ে পাঁচ লাখ দশ হাজার টাকা নিয়ে যায়। পরবর্তিতে করোনার লকডাউনসহ নানা অজুহাত দেখিয়ে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি সদর থানায় অভিযোগ নিয়ে গেলে থানা অভিযোগ গ্রহণ করেনি।

তবে খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রশীদ এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, থানা সবার জন্য উন্মুক্ত । তবে আমি ছুটিতে থাকা অবস্থায় কয়েকজন মহিলা অভিযোগ নিয়ে থানায় এসেছে বলে শুনেছি।

একই এলাকার বাসিন্দা শামীম আহমেদের স্ত্রী রাবেয়া সুলতানা পদ্ম জানায়, তিনি সরল বিশ্বাসে প্রতারক দম্পতি মো: রিপন ও জোসনা আক্তারের হাতে ৭০ হাজার তুলে দেন। কিন্তু এ প্রতারক দম্পতি পালিয়ে যাওয়ার পর আমার স্বামী আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। আমি এখন সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন করছি।

তিনি বলেন, অনেকে প্রতারিত হয়েও লোকলজ্জার ভয়ে মুখ খুলছে না।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: প্রেসক্লাব, সাংবাদিক সম্মেলন
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন