প্রীতির ডাবল হ্যাটট্রিকে উড়ে গেল ভুটান

fec-image

সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফফা কামাল স্টেডিয়ামে সোমবার (৭ নভেম্বর) ভুটানকে ৯-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। ৯ গোলে জয়ের ম্যাচে সুরভী আকন্দ প্রীতি একাই করেছেন ৬ গোল।

ভুটানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছিলেন প্র্রীতি। এবার করলেন জোড়া হ্যাটট্রিক। ভুটানকে বড় ব্যাবধানে হারানোর ফলে শিরোপা জয়ের আশা টিকে রইলো বাংলাদেশের।

ইতোমধ্যেই টানা তিন ম্যাচ হেরে ভুটান টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে। ৯ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে ম্যাচটি ভুটানের জন্য শুধুই নিয়মরক্ষার।

আগামী বুধবার নেপাল ভুটানকে হারালে ১১ নভেম্বর বাংলাদেশ এবং নেপালের মধ্যকার ম্যাচটিই মূলত হবে ফাইনাল। শিরোপা জিততে সেই ম্যাচে নেপালকে হারাতেই হবে বাংলাদেশের। তবে শুধু জিতলেই চলবে না, স্বাগতিকদের এগিয়ে থাকতে হবে গোলের হিসেবেও। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ নেপালের মুখোমুখি হবে ১১ নভেম্বর। প্রথম ম্যাচে ভুটানকে হারানোর পর তাদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে বাংলাদেশের মেয়েরা। পঞ্চদশ মিনিটে গোল করে এগিয়ে নেয় লাল-সবুজ বাহিনী। ভুটান গোলরক্ষক সোনাম বল ধরে উচুঁ করে শট নেন। তার নেওয়া দুর্বল শটটি চলে যায় ফরোয়ার্ড সুরভী আকন্দ প্রীতির পায়ে। প্লেসিং শটে বল জালে জড়াতে ভুল করেননি তিনি।

২২তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বাংলাদেশ। সুরভী চমৎকার-মাপা শটে বল জালে পাঠান। সোনম ঝাঁপিয়ে পড়েও বল ঠেকাতে পারেনি। ৩২তম মিনিটে আত্মঘাতী গোল করে বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে দেয় ভুটান। কানন রাণী বাহাদুরের কাছ থেকে বল পান পূজা দাস। তিনি ভুটানের গোলমুখে বল সেন্টার করেন। বদলী ডিফেন্ডার কিনলে দেমা বলটি বিপদমুক্ত করতে গিয়ে ভুল করে নিজেদের জালেই পাঠিয়ে দেন।

প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে গোলের ‘হালি’ পূর্ণ করে স্বাগতিক দল। মাঝমাঠে এক ভুটানি মিডফিল্ডারের ভুলে বল পান বাংলাদেশের মিতু। তিনি উঁচু করে বল তুলে দেন ফাঁকায় দাঁড়ানো সুযোগসন্ধানী সুরভীর পায়ে। বল নিয়ে সুরভী বক্সে ঢুকেই ডান পায়ের চমৎকার প্লেসিং শটে পরাস্ত করেন গোলরক্ষককে। সেই সঙ্গে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তিনি। চলতি আসরে এটা সুরভীর দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে একই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি।

বিরতির পর খেলা শুরু হতেই আবারও সুরভীর গোল। পূজার থ্রু পাস ধরে সুরভী বক্সের ভেতরে ঢুকে গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে ফাঁকা পোস্ট পেয়ে যান। ৫৫তম মিনিটে ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে ডান পায়ের চমৎকার উঁচু শটে গোল করেন মিতু।

৬৬তম মিনিটে পূজার পরিবর্তে মাঠে নেমেই গোল করেন ফরোয়ার্ড আয়েশা আক্তার। বক্সের ভেতরে ডান প্রান্ত থেকে উঁচু ক্রস করেছিলেন আয়েশা; সতীর্থদের উদ্দেশ্যে। কিন্তু সেই ক্রসটিই হয়ে যায় গোল। অষ্টম ও নবম গোল করেছেন রিতু ও প্রীতি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: নারী চ্যাম্পিয়নশিপ, সাফ অনূর্ধ্ব-১৫
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন