বাঙালি প্রতিনিধিবিহীন টাস্কফোর্স সভার প্রতিবাদে পার্বত্য ছাত্র সংসদের পাঁচ দফা দাবি


পার্বত্য চট্টগ্রামে ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী এবং অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসন বিষয়ক টাস্কফোর্সের ১২তম সভা বাঙালি প্রতিনিধিবিহীনভাবে আয়োজনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র সংসদ। সংগঠনটি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ সিদ্ধান্তকে পক্ষপাতদুষ্ট, বৈষম্যমূলক এবং সংবিধানবিরোধী বলে আখ্যা দিয়েছে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র সংসদের প্রচার সম্পাদক গাজী ইমরান স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জনানো হয়, আগামী ২২ অক্টোবর চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে টাস্কফোর্সের সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সুদত্ত চাকমা, যিনি বর্তমানে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় দায়িত্ব পালন করছেন। তবে টাস্কফোর্সে একমাত্র বাঙালি প্রতিনিধি এডভোকেট মহিউদ্দীন কবীর ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের অবৈধ নিয়োগ’ দাবি করে পূর্বে পদত্যাগ করলেও তাঁর পদে এখন পর্যন্ত কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে বাঙালি প্রতিনিধিবিহীনভাবে টাস্কফোর্সের সভা আহ্বানকে সংগঠনটি পক্ষপাতদুষ্ট এবং প্রশাসনিক নিয়মবহির্ভূত বলে দাবি করেছে।
ছাত্র সংসদের নেতারা বলেন, “একই সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজেকে বৈধ মনে করলেও বাঙালি প্রতিনিধি যদি একই কারণে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন, তবে সেটি দ্বৈতনীতি এবং তা সরকারের ফ্যাসিবাদী আচরণের প্রতিফলন।”
সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও দাবি করা হয়েছে, আসন্ন সভায় অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু বাঙালিদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে, যা পার্বত্য অঞ্চলে নতুন করে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি পাঁচ দফা দাবি উপস্থাপন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে—টাস্কফোর্স সভা স্থগিত করা, বর্তমান টাস্কফোর্স বাতিল করে নতুনভাবে গঠন, বাঙালি প্রতিনিধি নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত কার্যকর না করা, তালিকা থেকে বাঙালিদের নাম বাদ দেওয়ার অপচেষ্টা বন্ধ এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল জাতিগোষ্ঠীর সমান অধিকার নিশ্চিত করা।
পার্বত্য ছাত্র সংসদ হুঁশিয়ারি দিয়ে আরও জানান, এসব বৈষম্যমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত থাকলে গণআন্দোলন ও সাংবিধানিক পন্থায় তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে

















