বান্দরবানে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মুক্তিযোদ্ধা আটক

fec-image

বান্দরবানের হাফেজ ঘোনায় চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একজন মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে। এঘটনায় মঙ্গলবার সকালে পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাকে আটক করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বান্দরবান সদরের হাফেজঘোনা এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা মনির আহম্মদের বাড়ির পাশ্ববর্তী একটি নূরানী মাদ্রাসা নির্মাণ করেছেন। কয়েক মাস আগে বান্দরবান হাফেরঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী ওই মাদ্রাসায় ভোরবেলায় পড়তে যায়। তখন ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসায় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কথা বলে ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে যান অভিযুক্ত মুক্তিযোদ্ধা। ছাত্রীকে বাসায় নেয়ার পর জোরপূর্বক শিশুটিকে ধর্ষণ করে মুক্তিযোদ্ধা মনির আহম্মদ।

এই ভাবে ওই ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে ফুসলিয়ে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে আসছে মুক্তিযোদ্ধা নাম ধারী মনির আহাম্মেদ। ক’দিন আগে ভিকটিম ছাত্রী বিষয়টি তার আরেক বান্ধবীকে জানালে এলাকায় জানাজানি হয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় বান্দরবান সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিশ্চুক হাফেজ ঘোনার কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, অভিযুক্ত মুক্তিযোদ্ধা মনির আহম্মদ এলাকায় আগেও বিভিন্ন মেয়েকে উত্যক্ত করে এবং কু-প্রস্তাব দিয়েছে।

ধর্ষিতার মাতা ও পিতা অভিযোগ করে বলেন, আমার শিশু মেয়েকে ধর্ষণ করেছে মুক্তিযোদ্ধা নামধারী ওই ব্যক্তি। আমরা গরীব মানুষ। আমরা সরকারের কাছে অপরাধীর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

তবে মুক্তিযোদ্ধা মনির আহম্মদের স্ত্রী বলেন, আমরা এলাকায় অন্যদের চেয়ে প্রভাবশালী হওয়ায় আমাদের ভাল কেউ দেখতে পারেনা। তাই স্থানীয় লোকজন সবাই আমাদের নামে অপ্রচার চালাচ্ছে। আজকের ঘটনাটাও একটা ষড়যন্ত্র।

এ বিষয়ে বান্দরবান পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, ধর্ষণের ঘটনাটি আমরা শোনেছি। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আটক, ধর্ষণের অভিযোগে
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন