বান্দরবানে শাশুড়ির গোপন ভিডিও দিয়ে ব্ল্যাকমেইল; মেয়ে-জামাতা গ্রেপ্তার

fec-image

বান্দরবানে আপন শাশুড়িকে গোপনে ভিডিও করে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগে আপন মেয়ে সাদিয়া খান (২৫) ও জামাতা মিসকাতুন নবী মিসকাত (৩০)-কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল রোববার বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—মিসকাতুন নবী মিসকাত (৩০) ও তার স্ত্রী সাদিয়া খান (২৫)। তারা স্বামী-স্ত্রী এবং ভুক্তভোগী নারীর মেয়ে ও জামাতা বলে জানা গেছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ভুক্তভোগী নারী নিজ বসতবাড়িতে অবস্থান করছিলেন। ওই সময় অভিযুক্ত তার মেয়ে সাদিয়া খান (২৫) ও জামাতা মিসকাতুন নবী মিসকাত (৩০) এসে শাশুড়ির একটি গোপন ভিডিও দেখান। ভিডিওটি দেখিয়ে তারা শাশুড়ির কাছ থেকে তিন লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে ভিডিওটি রাজনৈতিক অঙ্গনসহ এলাকার বিভিন্ন মানুষের কাছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন মেয়ে ও জামাতা।

এছাড়াও ওই ভিডিও দেখিয়ে সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারার জন্য ভুক্তভোগী নারীকে দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে হয়রানি করে আসছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়।

এদিকে ভুক্তভোগী নারী মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে একপর্যায়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং মামলা দায়েরের পরামর্শ দেয়। পরবর্তীতে মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযুক্ত মেয়ে ও জামাতাকে গ্রেপ্তার করে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর ছেলে রায়হান উদ্দিন বলেন, সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারার জন্য আমার মায়ের গোসলসহ বিভিন্ন ভিডিও ধারণ করা হয়। এতে আমার বোন ও জামাই জড়িত ছিল। গত দুই-তিন বছর ধরে তারা আমার মাকে এভাবে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সহ্য করতে না পেরে মা আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে চেয়েছিল। এমন জঘন্য কাজ যেন ভবিষ্যতে কেউ করতে না পারে, সে জন্য আমার বোন ও জামাতার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবান সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মান্না দে বলেন,
ভুক্তভোগী নারী তার মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শাশুড়িকে ভিডিও করে ব্ল্যাকমেইল করার বিষয়টি মেয়ে ও তার জামাতা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন