বিদ্যুৎ উৎপাদন কমেছে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে

fec-image

রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে দ্রুত কমে যাচ্ছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছরে পানি আরও কমে যাওয়ায় কাপ্তাই জলবিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। যার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন নেমে এসেছে সর্বনিম্ন পর্যায়ে।

তাই শুষ্ক মৌসুম আসার আগেই বিদ্যুৎ উৎপাদন নেমেছে ৩০ মেগাওয়াটে, যেখানে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের সর্বোচ্চ উৎপাদন ক্ষমতা ২৪২ মেগাওয়াট।

হ্রদে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় প্রায় ২১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কম উৎপাদন হচ্ছে এ কেন্দ্রে। কম বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রভাব ইতোমধ্যেই পড়তে শুরু করেছে রাঙামাটির কাপ্তাই জুড়ে। দিনের বেশিরভাগ সময়েই হচ্ছে লোডশেডিং। এতে ভোগান্তি বেড়েছে সাধারণ মানুষের।

এদিকে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, এপ্রিল মাসের শুরুর দিক থেকে তীব্র দাবদাহের কারণে হ্রদের পানি হ্রাস পেতে থাকে। ফলে হ্রদের পানির ওপর নির্ভরশীল কাপ্তাই জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন বেশি ব্যাহত হচ্ছে।

বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদে পানির স্তর রয়েছে ৭৯.৭০ ফিট এমএসএল (মিনস সি লেভেল)। কিন্তু রুলকার্ভ অনুযায়ী বর্তমানে পানি থাকার কথা ৮৮ এমএসএল। প্রায় ৮.৩ ফুট পানি কম থাকার কারণে বাধ্য হয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন কর্তৃপক্ষ পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে চারটি ইউনিট বন্ধ রেখেছে। শুধু ১টি ইউনিট চালু রেখে মাত্র ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছেন। হ্রদে সর্বোচ্চ পানি ধারণক্ষমতা ১০৯ এমএসএল স্থলে বর্তমানে সর্বনিম্ন ৬৮ এমএসএল এ পৌঁছেছে।

এ বিষয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কাপ্তাই ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের বলেন, ‘কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আমরা ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছি। এখানে পানি নির্ভর ৫টি ইউনিটের মধ্যে ১, ২ ও ৪ নং ইউনিটগুলোই বেশি সচল থাকে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাই রোটেশনে যেকোনো একটি বা দুইটি ইউনিট ঝুঁকি নিয়ে চালু রাখা যায়।’

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন