বিশ্বকাপে শেষটা হলো আরো লজ্জার
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের শেষ ভালো হয়নি বাংলাদেশের। টাইগারদের লজ্জায় ডুবিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডের দিনে মাহমুদউল্লাহদের উড়িয়ে দিয়েছে অজিরা। টানা ১৪ বছর বিশ্বকাপের মূল পর্বে জয়ের স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেছে বাংলাদেশের। তবে দারুণ জয়ে গ্রুপ ‘এক’ এর সেমির লড়াই জমিয়ে দিয়েছে অ্যারন ফিঞ্চরা। আজ বৃহস্পতিবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৮ উইকেটের ব্যবধানে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। আগে ব্যাট করা টাইগারদের দেওয়া ৭৪ রানের লক্ষ্য ১৩ ওভার চার বল হাতে রেখে পেরিয়ে যায় অজিরা।
এর আগে, টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার বোলিং তোপে মাত্র ৭৩ রানেই গুটিয়ে যায় টাইগাররা। ব্যাটিং করতে নেমেই চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ১০ রানের মাঝে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন তিন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বোলিং শুরু করেন মিচেল স্টার্ক। দ্বিতীয় বলটি কোনোক্রমে ঠেকিয়ে ১ রান নেন নাঈম। তৃতীয় বলেই বোল্ড হয়ে যান লিটন দাস। বলটি তার ব্যাট ছুঁয়ে স্টাম্পে আঘাত হানে। গোল্ডেন ডাক মেরে ফিরেন লিটন।
কিন্তু সেই সৌম্য ৮ বলে ৫ রান করে জস হ্যাজেলউডের বলে বোল্ড হয়ে যান। উইকেটে আসেন মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যানটিও ম্যাক্সওয়েলের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন। ১০ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ ধুঁকতে থাকে। এরপর পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করেন নাঈম আর মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু ওই পর্যন্তই। দলীয় ৩২ রানে কামিন্সের তালুবন্দি হয়ে হ্যাজেলউডের শিকার হন মোহাম্মদ নাঈম (১৭)।
ডাক মারার মিছিলে যোগ দেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। তরুণ প্রতিভাবান এই ব্যাটারের পুরো আসরটাই গেল ব্যর্থতায়। ৩৩ রানে বাংলাদেশের ইনিংসের অর্ধেক শেষ হয়। অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহ (১৬) ও শামীমের হোসেনের (১৯) কল্যাণে শেষ পর্যন্ত ৭৩ রান করতে পারে বাংলাদেশ।
মাত্র ১৫ ওভার খেলতে পেরেছে বাংলাদেশে ব্যাটাররা। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম জাম্পা ১৯ রানে পাঁচ উইকেট লাভ করেন। এছাড়া মিচেল স্টার্ক ও হ্যাজেলউড দুটি করে উইকেট পান।