মক্তব ভিক্তিক শিক্ষা চালুর দাবীতে আলেম সমাজকে আন্দোলন করতে হবে: ইফা পরিচালক
খাগড়াছড়ি সংবাদদাতা:
বঙ্গবন্ধুর ৩৮তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে খাগড়াছড়ি ইসলামিক ফাউন্ডেশন উদ্দ্যেগে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনে কর্মরত জেলার সকল মসজিদের ঈমাম ও মোয়াজ্জিনদেরকে নিয়ে এ আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ইফা খাগড়াছড়ি জেলার উপ-পরিচালক একেএম জিয়াউল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রসাশক মাসুদ করিম। বিশেষ অতিথির মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সহকারী-পুলিশ সুপার জয়নুল আবেদীন, ইফার পরিচালক হারুনুর রশিদ, ঐক্যজোটের একাংশের মহাসচিব গোলাম রাব্বানী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শানে আলম প্রমুখ।
সভায় ইফার পরিচালক হারুনুর রশিদ বলেন, বঙ্গবন্ধু এদেশের ইসলাম প্রচারের ক্ষেত্রে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন। আর শত্রুরা তাকে নির্মমভাবে স্ব-পরিবারের হত্যা করেছে। তাদের সকলকে বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে। তিনি আলেমদের উদ্দ্যেশে বলেন, বর্তমানে মক্তব শিক্ষা বন্ধ করার জন্যে কেজি স্কুল ও এনজিওদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হচ্ছে। ফজরের নামাজের পর থেকে ২ঘন্টা সময়ের মধ্যে কোন এনজিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা না করার দাবী জানান। এবং মক্তব ভিত্তিক শিক্ষা চালু ও ইমামদেরকে প্রাথমিক শিক্ষকদের ন্যায় জাতীয় স্কেলে বেতন চালুর জন্যে আলেমদেরকে আন্দোলন করার আহবান জানান।
ঐক্যজোটের একাংশের মহা-সচিব গোলাম রাব্বানি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনুস এদেশের সম-কামিতা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন। তার কাছে সুদের টাকা আছে তা দিয়ে তিনি দেশের জন্যে অনিষ্ঠ কাজ করতে চাইছেন। তা হতে দেওয়া হবেনা। মওদুদী পন্থি আলেমরা স্বাধীনত যুদ্ধের বিরোধীতা করেছেন। তারা আবার ইসলামের কথা বলেন। আর আল্লামা শফি বার্ধ্যক্যের কারণে মেয়েদেরকে তেতুলের সাথে তুলনা করেছেন । মেয়েদের দেখলে তার ঠোঁটে লালা আসে। তিনি আল্লামা শফিকে তা থেকে ফিরে এসে প্রগতির পথে আসার আহবান জানান। পরে অতিথিরা হামদ-নাত প্রতিযোগী বিজয়ীদের মধ্যে পুরুস্কার বিতরন করেন।