রাঙামাটির এফপিএবি’র চলাচলের রাস্তা অবমুক্তির দাবি

fec-image

বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি (এফপিএবি) রাঙামাটি শাখা অফিসের পূর্বের চলাচলের রাস্তা অবমুক্তির দাবি তুলেছে সংগঠনটির স্থানীয় কর্মকর্তারা।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সংগঠনটির কার্যালয়ে সংবাদ সন্মেলনের মাধ্যমে এ দাবি তুলেন তারা।

কর্তৃপক্ষরা বলেন, বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় স্বীকৃত ও ইন্টারন্যাশনাল প্লানড প্যারেন্টহুড ফেডারেশন অধিভুক্ত একটি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান।

মা ও শিশু স্বাস্থ্য কল্যাণের লক্ষ্যে ও পরিকল্পিতি পরিবারের ধারণাকে জনপ্রিয় করা এবং পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণে দম্পতিদের প্রয়োজনীয় তথ্য ও সামগ্রী সরবরাহ করা এর প্রধান কাজ।

রাঙামাটি পরিবার পরিকল্পনা সমিতি ১৯৯৩সালে থেকে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে রাঙামাটি শহরের কোর্ডবিল্ডিংস্থ এলাকায় রেকর্ডীয় ১০শতাংশ ভূমিতে নিজস্ব ভবন নির্মাণ করে।

বর্তমানে উক্ত জায়গায় রাঙামাটি চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের নিজস্ব রেকর্ডীয় জায়গার বাহিরে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করায় এফএবি’র কার্যালয় এবং হাসপতালে যাওয়ার রাস্তা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেছে। যার ফলে সুবিধা বঞ্চিত প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা প্রার্থী মায়েদের পায়ে হেঁটে বা এ্যাম্বুলেন্সে যাতায়াত করতে পারছে না।

স্থানীয় বিচার বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের প্রতি এ বিষয়ে বারবার অভিযোগ দিলেও তাদের কাছ থেকে কোন সুরাহ পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেন তারা। এমন অবস্থায় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটি তাদের সীমানা প্রাচীর সরিয়ে এফপিএবি’র পূর্বের সড়কে নির্বিঘ্নে চলাচলে সুযোগ করে দেয়ার জোর দাবি তুলেন সংবাদ সন্মেলনের মাধ্যমে।

সংবাদ সন্মেলনে এফপিএবি’র রাঙামাটি শাখার সভাপতি মো. মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, রাঙামাটি পাবলিক কলেজের অধ্যক্ষ তাসাদ্দিক হোসেন কবির, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, দৈনিক গিরিদর্পন সম্পাদক একেএম মকসুদ আহম্মেদ, এফপিএবি’র সদস্য মো. ইউসুফসহ সংগঠনটির সাথে জড়ির অন্যান্য সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি, রাঙামাটি, সরকার
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন