রাজারবাগীমুক্ত দরিয়ানগরে মক্তব ও বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র চালু
কক্সবাজার শহরতলীর দরিয়ানগর বড়ছড়া গ্রামের ঐতিহ্যবাহী ‘ঝাউবন বিদ্যানিকেতন’ ও ‘কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ’ রাজারবাগী পীরের সিন্ডিকেটের কবল থেকে উদ্ধারের পর সেখানে মক্তব ও বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র চালু করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার (৩ নভেম্বর) এলাকাবাসীর সমন্বয়ে এই উদ্যোগ গৃহীত হয় বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা সাংবাদিক ও গবেষক আহমদ গিয়াস।
তিনি বলেন, ১৪ বছর আগে তবলীগ বেশে এলাকার স্কুল ও মসজিদ জবর দখল করে নেয় রাজারবাগী ভন্ডরা। এরপর তারা মক্তব ও স্কুল বন্ধ করে দেয়। ভিন্ন মতবাদ প্রচার করতে থাকে। গোপনে, প্রকাশ্যে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড চালায়।
সম্প্রতি বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর আন্দোলনের প্রেক্ষিতে গত ২৮ অক্টোবর মসজিদ ছাড়ে। ৩১ অক্টোবর স্কুল থেকে আস্তানা সরিয়ে নেয় কথিত পীরের সিন্ডিকেট। ১৪ বছর পর ১ নভেম্বর স্কুলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে গ্রামবাসী। ৩ নভেম্বর বিকালে দখলমুক্ত স্কুলে উদ্বোধন করা হয় বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় বাসিন্দা সাংবাদিক ও গবেষক আহমদ গিয়াস, দরিয়ানগর বড়ছড়া যুবসমাজের সাধারণ সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা পারভেজ মোশাররফ, যুবনেতা আবু ফরহাদ বোখারী, লুৎফুর রহমান, ছাত্রনেতা আরিফুল ইসলাম জয় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে ভোরে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে উদ্বোধন করা হয় মক্তব। উদ্বোধনী দিনেই মক্তবে ধর্মীয় শিক্ষা নিতে যোগ দেয় শতাধিক শিশু। অনুষ্ঠানে যুবনেতা মাহবুব আলম, পারভেজ মোশাররফ, দেলোয়ার হোসেন, জামালউদ্দিনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
যুবনেতা মাহবুব আলম ও পারভেজ মোশাররফ জানান, ১৪ বছর আগে ধর্মীয় ছদ্মাবরণে প্রতারক ও বেনিয়া গোষ্ঠী এলাকার এক একর আয়তনের জমি ও ভবনসহ স্কুল এবং একই পরিমাণ জমিসহ মসজিদটি দখল করে নিয়ে নিজেদের আস্তানা তৈরি করে। সে আস্তানায় চলে ধর্ম ও দেশবিরোধী ভয়াবহ কর্মকাণ্ড। মানুষকে দেয়া হয় একের পর এক মিথ্যা গায়েবী মামলা।
এভাবে গত ১৪ বছর ধরে সমাজে গড়ে তোলে এক অরাজকতা । এদের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে সম্প্রতি এলাকাবাসী আন্দোলনে নামলে প্রতিবাদী গ্রামবাসীর ওপর নৃশংসভাবে হামলা চালায় মানবতাবিরোধী এই পীর সিন্ডিকেটের বেতনধারী সদস্যরা। এতে উভয়পক্ষে মুখোমুখি অবস্থান তৈরি হলে এক পর্যায়ে গ্রামবাসীর রষানলের মুখে পলায়ন করে রাজারবাগীরা।