রামু বৌদ্ধ বিহার ধ্বংসের প্রথম বর্ষপূর্তি পালিত
আবদুল্লাহ নয়ন, কক্সবাজার:
ভয়াল ২৯ সেস্টেমম্বর নানা আয়োজনে পালন করেছে কক্সবাজারের বৌদ্ধ সম্প্রদায়। রোববার ভোর থেকে রামু উখিয়া ও টেকনাফে নানা আয়োজন ছিল। ভোর ৫ টায় বুদ্ধপুজার মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিনের কর্মসূচী। সকাল ৭ টায় জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় সব বিহার এবং মন্দিরে। সকাল ৯ টায় চলে অষ্ট পরিষ্কার দান, বেলা ৩ টায় রামুর লাল চিং থেকে বের করা হয় শান্তি শোভাযাত্রা, সীমা বিহার হয়ে আবারো সেখানে গিয়ে শেষ হয়। সকল শ্রেনীর বৌদ্ধ সম্প্রদায় এ শোভাযাত্রায় অংশ নেন। বৌদ্ধদের পাশাপাশি অন্য ধর্মের লোকজন ও এ শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে এ হামলার নিন্দা জানান।
রামু কেন্দ্রিয় সীমা বিহারের আবাসিক ভিক্ষু প্রজ্ঞানন্দ জানান, সন্ধ্যায় ৬ টায় মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন এর মাধ্যমে ও বিশ্বশান্তি কামনায় ১৯ টি মন্দির বিহারে চলে সমবেত প্রার্থনা। এ প্রার্থনার মাধ্যম ধরায় শান্তি কামনা করা হয় বলে তিনি জানান। এছাড়া আলোক চিত্র প্রদর্শনী ও স্মৃতি চারন সভা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন, প্রফেসর আনু মোহাম্মদ,ড. সলিম উল্লাহ খান,প্রফেসর মোস্তাক আহমদ,উদিচা ইসলাম,অরুপ রাহী।
বৌদ্ধ ধর্মের মানুষ জানান, ২০১২ সালে ২৯ সেপ্টেম্বর ফেইস বুকে একটি ছবি ট্যাগ করাকে কেন্দ্র করে রামু উপজেলায় এক তান্ডব চালানো হয়। ওই দিন রামুতে বিহার ও বসতিতে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এর পরের দিন ৩০ সেপ্টেম্বর এক হামলা সংঘটিত হয় টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায়। এ দু’দিনের রামু ও উখিয়ার ১৯ টি বৌদ্ধ বিহার ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সরকার ২০ কোটি টাকা ব্যায়ে মন্দির গুলো নির্মান করে দেয়। ৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রামু ও উখিয়া সফরে এসে এর উদ্বোধনও করেছেন।