লক্ষীছড়িতে ইউপিডিএফ-জেএসএস বন্ধুকযুদ্ধ: নিহত ২

2304131366718165Untitled-3

নিজস্ব সংবাদদাতা :
খাগড়াছড়ির লক্ষীছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী দূর্গম বর্মাছড়ি-কুতুবছড়ি লম্বাটিলা এলাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (সন্তু গ্রুপ) ও ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) মধ্যকার ঘন্টাব্যাপী বন্ধুকযুদ্ধে দুই ইউপিডিএফ কর্মী নিহত হয়েছে।

নিরাপত্তা বাহিনী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিট থেকে প্রায় ঘন্টা ব্যাপী বিবাদমান দুটি সংগঠন ইউপিডিএফ ও জেএসএসের মধ্যে আধিপত্ত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রায় ৭০ রাউন্ডের মত গুলিবিনিময় হয়। ঘটনাস্থল লক্ষীছড়ি উপেজলা সদর থেকে ৪০ কিলোমিটার  এবং বর্মাছড়ি সেনা ক্যাম্প থেকে ১২ কিলোমিটার দুরের জঙ্গলাকীর্ণ এলাকা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বেলা পৌনে দুইটার দিকে লক্ষীছড়িতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (সন্তু গ্রুপ) ও চুক্তিবিরোধী ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) মধ্যে ঘন্টাব্যাপী বন্ধুকযুদ্ধ সংগঠিত হয়। বেলা আড়াইটা পর্যন্ত থেমে থেমে চলা বন্ধুকযুদ্ধে প্রতিপক্ষের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় ইউপিডিএফের দুই কর্মী।

গুইমারা রিজিয়নের জিটু মেজর হাসান আরাফাত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গোলাগুলির খবর নিশ্চিত হতে পারলেও নিহত হওয়ার সত্যতা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী রওনা দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
লক্ষীছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: কামরুল হাসান জানান, গোলাগুলির খবর শুনেছি। তবে ঘটনাস্থল ঘটনাস্থল উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৪০ কি.মি. দুরে হওয়ায় সেখানে পুলিশ যাওয়া সম্ভব নয়।

এদিকে ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) কোন বক্তব্য পাওয়া না গেলেও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস সন্তু গ্রুপ) লক্ষীছড়ি উপজেলা কমিটির সভাপতি ধীমান চাকমা জানান, এটি ইউপিডিএফের অভ্যন্তরীণ ঘটনা। এতে জেএসএস জড়িত নয়।
স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনী সুত্র ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

উল্লেখ্য যে, গত ৪ জুলাই পানছড়ি উপজলোর পুজগাঙ অজ্ঞাতনামা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলায় ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) নেতা সমীরণ চাকমা (৩০) ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) সদস্য পুর্ণ কুমার চাকমা ওরফে জার্মান (৪৫) নিহত হয়েছেন। এসময় সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল থেকে শ্যামল চাকমা নামে অপর একজনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এবং সর্বশেষ গত ১৪ জুলাই শনিবার ভোর রাতে পানছড়ি উপজেলা দূর্গম তাপিতাপাড়া এলাকায় অরুণ কান্তি চাকমাকে (৪০) নামের এক খ্রীষ্টান ধর্মপ্রচারককে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন