মিয়ানমার বাংলাদেশ সীমান্তে লুনটিন মোতায়েন করছে, নাসাকা বিলুপ্ত

nasaka-2

মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান, টেকনাফ :
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত থেকে নাসাকা বাহিনীকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। মিয়ানমার সরকার নাসাকা বাহিনীকে বিলুপ্ত ঘোষণা করার পর বাহিনীর সদস্যদের সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। নাসাকার বদলে বাংলাদেশ সীমান্তে সেদেশের আধাসামরিক বাহিনী লুনটিন কে বসানো হচ্ছে।

৪২ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল জাহিদ হাসান সীমান্ত থেকে নাসাকা বাহিনীকে সরানোর কথা স্বীকার করে বলেন, “মিয়ানমার সরকার এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। তবে বিজিবি বিষয়টি সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে।”

টেকনাফ সদর বিওপির সুবেদার জাকারিয়া বলেন, “আমরা যতটুকু জেনেছি সীমান্ত থেকে নাসাকা বাহিনীর সদস্যদের ইতিমধ্যে সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু হয়েছে। নতুন বাহিনীর সঙ্গে যোগযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজিবি।”

সীমান্তের বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, লুনটিন বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সম্প্রতি আত্মসমর্পণ করা বিচ্ছিন্নতাবাদী এএলপির আরো বেশ কিছু সদস্য যোগ করে বর্ডার গার্ড ফোর্স (বিজিএফ) নাম দিয়ে নতুন সীমান্ত রক্ষী বাহিনী গঠন করবে মিয়ানমার।

উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে মিয়ানমার সীমান্তে গোলযোগের ঘটনায় সে দেশের সরকার লুনটিন বাহিনীকে সরিয়ে নাসাকা বাহিনীকে বসায়। সেনাবাহিনী, পুলিশ, কাস্টম বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে বিশেষায়িত নাসাকা বাহিনী গঠন করা হয়। এ বাহিনীকে বাংলাদেশের কক্সবাজার ও বান্দরবান সীমান্তে মোতায়েন করা হয়। সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালানোসহ নাসাকার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহল থেকে ব্যাপক অভিযোগ ওঠে। গত ১২ জুলাই মিয়ানমার সরকার নাসাকা বাহিনীকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে। নাসাকাকে সরিয়ে নিয়ে লুনটিন বাহিনীকে বসানোর সিদ্ধান্তে সীমান্তে বসবাসকারী লোকজনদের মধ্যে আতঙ্ক-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। বিজিবি বান্দরবান ও কক্সবাজার সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।

লুনটিন বাহিনী নিয়োগ করা হলে সীমান্তে মিয়ানমারের শক্তি অনেক বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে বিজিবিকে মিয়ানমার সীমান্তে আরো শক্তিশালী করা প্রয়োজন বলে মনে করে সংশ্লিষ্ট মহল।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন