লক্ষীছড়িতে ২৬৯ ঘনফুট কাঠ জব্দ

fec-image

খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষীছড়ি উপজেলার ২২০নং ময়ূরখীল মৌজার ২নং হোল্ডিং এর ৩৪নং খতিয়ানের ১০৭.২৪ একর ভূমির বনাঞ্চলে থাকা বনসম্পদ লুটেপুটে খাচ্ছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র! ফলে প্রতি বছর শীত মৌসুমে এই অরক্ষিত টিলা ভূমির গাছ- পালা কাটার প্রতিযোগিতা চলে প্রশাসনের অগোচরে। গত বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনী ও বনবিভাগের অভিযানে ২৬৯.০৫ ঘনফুট অপরিপক্ক কাঠ জব্দ করা হয়েছে। যার বাজারমূল্য আনুমানিক এক লাখ টাকার অধিক।

উপজেলা, বনবিভাগের ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা মো. আবদুল গফুর চৌধুরী জানান, সদর লক্ষীছড়ি ইউপির, ২২০নং ময়ূরখীল মৌজার অন্দরে ১০৭.২৪ একর টিলা জনৈক মেসার্স এগ্রি কালচার ফার্মের নামে লিজ থাকা সম্পত্তি ২০১৫ সালে বাতিল করে সরকার। যদিও এখনো ওই ফার্মের লোকজন তাঁদের ফার্মের নামে আবারও লিজ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করলেও ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত অফিসিয়ালি কোন রেকর্ড তারা দেখাতে পারেনি। ফলে এই সম্পত্তি সরকারি সম্পদ ভেবে বনবিভাগ সেদিকে নজরদারী করেন। এরই মধ্যে সম্প্রতি একটি চক্র বনবিভাগের নজরদারীর আঁড়ালে বিশাল বাগানের অপরিপক্ক গামারী, গর্জন, জাম, গোদা ও সেগুন গাছ কেটে নিয়ে যায়। এমন তথ্যের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সেনাবাহিনী ও বনবিভাগ সেখানে অভিযান চালিয়ে ১৭৬ টুকরো অপরিপক্ক গাছ জব্দ করা হয়।

শুক্রবার জব্দকৃত গাছ পরিমাপ করে দেখা যায় ২৬৯.০৫ ঘণফুট কাঠ যার আনুমানিক বাজারমূল প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার টাকা।

বন কর্মকর্তা আরো জানান, জব্দকৃত কাঠের মালিকানা দাবি করতে হলে অবশ্য কাউকে ভূমির মালিকানার কাগজপত্র বনবিভাগে দেখাতে হবে। মালিকানা প্রমাণ হলেও বিনা অনুমতিতে অপরিপক্ক গাছ কাটা ও পাচার করার অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা হবে। যার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন