লক্ষ্মীছড়ি হাসপাতালে নামাজ ঘর নির্মাণে উপজেলা চেয়ারম্যান কর্তৃক বাধা দেয়ার পর আলোচনা করে সমাধান

মোবারক হোসেন:

খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা হাসপাতালের মুসল্লীদের জন্য নামাজ ঘর নির্মাণে উপজেলা চেয়ারম্যান সরেজমিনে গিয়ে বাঁধা দেয়ার একদিন পর মুসলিম জনতা ক্ষীপ্ত হয়ে ওঠলে আলোচনা করে সুষ্ঠু সমাধান করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে করে বড় ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব হয়েছে।

খবরে প্রকাশ, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোতি নিয়ে হাসপাতালের মুসলমান স্টাফরা নামাজ ঘর নির্মাণের প্রস্তুতি নিয়ে কাজ শুরু করেন। ১৫/২০ ফুটের দৈর্ঘ্য প্রস্থের এই ঘর নির্মাণে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় ছোট বড় মিলে ৪টি মেহগনি গাছ কাটা পড়ে। গাছ কাটার খবর জানতে পেরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুপার জ্যোতি চাকমা নিজে উপস্থিত হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানকে কেন অবগত করা হলো না, অনুমোতি ছাড়া গাছ কাটা হলো কেন। পরবর্তি সমন্বয় মিটিং না হওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে চলে আসেন।

এই খবর দ্রুত ছড়িয়ে পরে পুরো এলাকায়। উত্তেজনা বাড়তে থাকে মুসলিম জনতার মাঝে। ১৫ জুলাই বুধবার বেলা ২টার মধ্যে নির্মাণ কাজ শুরু না হলে মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের করার আল্টিমেটাম দেয়া হয়।

এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও কয়েকজন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে বেলা ১২টার দিকে নিজ বাসায় জরুরী বৈঠক বসে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেন এবং এক পর্যায় ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ শুরু করার নির্দেশ দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

এসময় উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি আবুল হাসেম চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো: ফোরকান হাওলাদার, ভাইস চেয়ারম্যান অংগ প্রু মারমা, উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি সাংবাদিক মো: মোবারক হোসেন, হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. ওমর ফারুক, ডা. আলাউদ্দিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: বিল্লাল হোসেন বেপারি, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আবুল কালাম, ছাত্রলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান ছাড়াও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্য হতে মো: রেজাইল করিম, মো: শাহজাহান, আনোয়ার হোসেন, আব্দুল ওহাব, মজিবর রহমানসহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুপার জ্যোতি চাকমা বলেন, আমার কথাকে ভুল ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে, আমি শুধু বলেছি এই বিষয়টা আমি কেন জানলাম না। আমি মসজিদ নির্মাণ করতে বাঁধা দিয়েছি এটা সঠিক নয়।

এ ব্যাপারে ডা. ওমর ফারুক বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সবাই মিলে কাজটি আবার শুরু করতে বলেছেন আর কোন সমস্যা নেই বলে তিনি জানান। শান্তি সম্প্রীতির এই উপজেলায় সৃষ্ট উত্তেজনাকর পরিস্থিতি দ্রুত সমাধানের মধ্য দিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত বড় ধরনের ঘটনা থেকে রেহাই পেল এলাকাবাসী।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment
আরও পড়ুন