সন্ত্রাসীর গুলিতে সেনাবাহিনীর সদস্য হত্যার প্রতিবাদে মানিকছড়িতে নাগরিক পরিষদের মানববন্ধন

fec-image

বান্দরবান পার্বত্য জেলার রুমা উপজেলায় সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো. হাবিবুর রহমান নিহত ও এক সেনা সদস্য আহতের প্রতিবাদে মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) মানিকছড়িতে এক বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন পালন করেছে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার মহামুনি বাসস্ট্রেশন থেকে সংগঠনের দুই শতাধিক নেতাকর্মী একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলকারীরা পাহাড়ে শান্তিচুক্তি ভঙ্গকারী সন্তু লারমার লালিত জেএসএস সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠিকে হত্যা, গুম, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টির ঘটনায় দায়ী করে সন্তু লারমাকে আইনের আওতায় আনার দাবীতে শ্লোগান দেন। পরে বিক্ষোভ মিছিল আমতলায় এসে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কে মানববন্ধন শুরু করেন।

পাবর্ত্য নাগরিক পরিষদের জেলা কমিটির সহ-সভাপতি মো. মোকতাদীর হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন, নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আবু তাহের। অতিথি ছিলেন, নাগরিক কমিটির সহ-সভাপতি মো. জাহেদুল ইসলাম, মো. হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. লোকময়ন হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জালাল হোসেন, মহিলা নাগরিক পরিষদের জেলা কমিটির সভাপতি মোছাম্মৎ হাসিনা বেগম, নাগরিক ছাত্র পরিষদের জেলা আহ্বায়ক মো. সুমন হোসেন প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, গত ২ ফেব্রুয়ারী বা্ন্দরবানের রুমায় সেনাবাহিনীর টহলে ব্রাশফায়ারে একজন সেনা অফিসার ( সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো. হাবিবুর রহমান) হত্যা ও একজন সেনা সদস্যকে আহত করার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী হাজার হাজার বাঙ্গালী হত্যাকারী জেএসএস নেতা সন্তু লারমা ও তাঁর দোরসরা তাঁদের অপশক্তি দেখিয়ে বাঙ্গালীর হৃদয়ে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। শান্তিচুক্তির নামে সন্তু লারমা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পার্বত্যবাসীর সাথে প্রতারণা করেছেন।

পাহাড়ে জেএসএস, ইউপিডিএফ, সংস্কারের নামে অবৈধ অস্ত্রের মজুদ বানিয়ে জাতীয় পতাকা ও রাষ্ট্রীয় সুযোগ -সুবিধাভোগ করেও সন্তু লারমার হৃদয়ে দেশপ্রেম জাগ্রত হয়নি। পার্বত্য নাগরিক পরিষদ পার্বত্য এলাকায় সকল ধর্ম ও গোত্রের সমঅধিকার নিশ্চিতসহ শান্তিচুক্তি বাতিল অথবা পুর্ণমূল্যায়ণ এবং সন্তু লারমাকে সকল হত্যাকান্ডের নির্দেশদাতা হিসেবে আইনের আওতায় আনা জোরদাবী জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন