সাফজয়ী ৫ ফুটবলার ও কোচকে সংবর্ধনা দিলো পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়

fec-image

সাফ ফুটবল বিজয়ী ৫ পাহাড়ি কন্যা ও তাদের সহকারী কোচকে সংবর্ধনা দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীরবাহাদুর উশৈসিং ও সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ফুটবলার রুপনা চাকমা, মনিকা চাকমা, আনাই মগিনি, ঋতুপর্ণা চাকমা, আনুচিং মগিনি এবং সহকারী কোচ তৃষ্ণা চাকমার হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।

মন্ত্রী উশৈসিং বলেন, ‘এ ফুটবলারদের নামে পৃথিবীর মানুষ পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলকে চিনবে। তাদের জন্য যা যা করার আমরা করবো।’

তিনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও জাতীয় ক্রীড়া সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, তিন পার্বত্য জেলায় বিকেএসপির আদলে প্রতিষ্ঠান কিংবা ফুটবল বা ক্রীড়া একাডেমি করা যায় কিনা- তা বিবেচনা করা যেতে পারে। পার্বত্য এলাকার মানুষের স্ট্যামিনা আছে। এটাকে কাজে লাগানো যেতে পারে।

মন্ত্রী আরও বলেন, পার্বত্য তিন জেলায় ফুটবল প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। এরপর তিন জেলায় টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হবে। এরপর খেলোয়াড় বাছাই করে তাদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। যাতে তারা জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দিতে পারে। এ বিষয়ে পদক্ষেপ আমরা নেবো।

‘এটা একটা শুরু। তাদের অনেক দূর এগিয়ে যেতে হবে। অহঙ্কার পদনের মূল, তাদের মনে করতে হবে- আমরা কেবল শুরু করলাম।’

অনুষ্ঠানে ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমা তার এলাকায় সুপেয় পানীয় জলের অভাব ও যোগাযোগ ব্যবস্থার দুরবস্থার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমার প্রিয় বিদ্যালয়টি সরকারিকরণেও আবেদন করছি। প্রত্যেক বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ এবং প্রত্যেক উপজেলায় বঙ্গমাতার নামে স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য আপনাদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাবর আবেদন রাখছি। আমরা দেশের স্বার্থে জীবন দিতেও প্রস্তুত। এগিয়ে যাওয়ার আশ্বাস আমরা দিচ্ছি।’

পরে মন্ত্রী বলেন, রাস্তাঘাট-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উন্নয়নের কাজ চলমান। সেগুলো চলবে। পার্বত্য তিন জেলায় তালিকা চাওয়া হয়েছে। যেখানে সরকারি স্কুল নেই এমন ১৪০টি স্কুলের তালিকা আমরা করছি। তালিকা করে আমরা প্রধানমন্ত্রীকে দেবো। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সরকারি করা হবে।

এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন