সিএইচটিডিবি ৩৯ বছরে তিন পার্বত্য জেলায় ৪৮১৮ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে

IMG_0103

স্টাফ রিপোর্টার:

বিগত ৩৯ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বা সিএইচটিডিবি ১২০০ কোটি ব্যয়ে তিন পার্বত্য জেলায় ৪ হাজার ৮১৮টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান তরুণ কান্তি ঘোষ।

তিনি বলেন, ১৯৭৬ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠা হয়। আর এ চার দশকে উন্নয়নের শীর্ষে দাঁড়িয়েছে এ প্রতিষ্ঠানটি। যার সুফল পেয়েছে তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের সাধারণ মানুষ।

রবিবার সকাল ১০টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের কর্ণফুলি সম্মেলন কক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ৪০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তরুণ কান্তি ঘোষ।

সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য সচিব নুরুল আলম চৌধুরী, সদস্য (পরিকল্পনা) প্রীতি কান্তি ত্রিপুরা, রাবার ও কমলা প্রকল্পের কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, সমন্বিত সমাজ উন্নয়ন প্রকল্প কর্মকর্তা মো. জানে আলমসহ অন্য কর্মকর্তারা।

তরুণ কান্তি ঘোষ আরও জানান, ১৪ জানুয়ারি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের গৌরবের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মাউন্টেটবাইক প্রতিযোগিতা, শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ ব্যাপক কর্মসূচি পালিত হবে।

এসব কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান র.আ.ম উবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী উপস্থিত থাকবেন। সভাপতিত্ব করবেন উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা।

সিএইচটিডিবি

ভাইস চেয়ারম্যান তরুণ কান্তি ঘোষ বলেন, গত চার দশকে এ পর্যন্ত তিন পার্বত্য জেলায় ১ হাজার ২শ’ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। যার মধ্যে রয়েছে ৫ হাজার ৮৫০ মিটার সেচনালা ও ১২২টি জলাধার নির্মাণের মাধ্যমে ১২ হাজার ২২০ একর জমিতে সেচ সুবিধা দেয়া, ৩১৯টি মসজিদ, মন্দির ও প্যাগোডা, ১ হাজার ৫৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৫০টি ছাত্রাবাস ও বিজ্ঞানাগার, ৫৭টি বাজারশেড, ৫৯টি যৌথ খামার, বান্দরবানের চিম্বুক, নীলাচল, মেঘলা ও খাগড়াছড়ির আলুটিলা, মাতাইপুখরীসহ বিভিন্ন জায়গায় পর্যটন অবকাঠামো, ৬১৫ কিলোমিটার রাস্তা, ৮১৪টি সেতু, ২ হাজার ৮৭১টি কালভার্ট, ৩৪টি যাত্রী ছাউনি, ৪টি স্টেডিয়াম, ১১টি অডিটোরিয়াম, ৩টি জিমনেসিয়াম, ৯টি বিশ্রামাগার নির্মাণ ও সংস্কার করা হয়েছে।

এছাড়া তিনটি পার্বত্য জেলায় ৪ হাজার পাড়াকেন্দ্র, ২২টি শিশুবান্ধব স্কুল ও ৪টি আবাসিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে সেগুলো পরিচালনা করছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। পাশাপাশি বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মেধাবী ও অস্বচ্ছল প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি দেয়া হয়েছে। ২৩ হাজার ৮৩৫ একর জমিতে ফলজবাগান ও ১৩ হাজার ২শ’ একর জমিতে রাবারবাগান সৃজন এবং ৩ হাজার ৩শ’ পরিবারকে ৪ একর করে ভূমি বন্দোবস্তু দেয়া হয়েছে।

এছাড়া দুর্গম পার্বত্য এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপন ও যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: উন্নয়ন তিন পার্বত্য জেলা, উন্নয়ন বোর্ড, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন