সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে ৭ ফায়ার সার্ভিস কর্মী নিহত, ২ জন রাঙামাটির

fec-image

দুর্ঘটনার একপর্যায়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটলে ফ্রন্টলাইনে কাজ করা কর্মীরা গুরুতর আহত হয়। এরমধ্যে ৭ জন কর্মীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। আরও বেশ কয়েকজন কর্মী চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল-সিএমএইচসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় রাঙামাটির দুই ফায়ার সার্ভিস কর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (৫ জুন) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর রাঙামাটি অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন মিঠু দেওয়ান (৫০) ও নিপন চাকমা। এদের মধ্যে মিঠু দেওয়ানের মরদেহ শনাক্ত করতে পারলেও নিপন চাকমার মরদেহ এখনও শনাক্ত করতে পারেনি তার স্বজনরা। এই ঘটনায় ৭ জন ফায়ার সার্ভিস সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, শনিবার (৪ জুন) দিবাগত রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুনের এ ঘটনা ঘটে। এ খবর জানতে পেয়ে পর্যায়ক্রমে ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম ও আশপাশের সকল ফায়ার স্টেশন ঘটনাস্থলে ছুটে যান। দুর্ঘটনার একপর্যায়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটলে ফ্রন্টলাইনে কাজ করা কর্মীরা গুরুতর আহত হয়। এরমধ্যে ৭ জন কর্মীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। আরও বেশ কয়েকজন কর্মী চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল-সিএমএইচসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রাঙামাটি অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় আমাদের মারা যাওয়া সদস্যদের পুড়ে যাওয়ার কারণে কারও মরদেহ শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তবে আগুন নেভানোর কাজে মিঠু দেওয়ান ও নিপন চাকমা দায়িত্বরত ছিলেন এবং তাদের সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই ধারণা করা হচ্ছে উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলোর মধ্যে তারাও রয়েছে। তাদের পরিবারের সদস্যরা সেখানে গেছেন। হয়তো ডিএনএ পরীক্ষা শেষে তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে এবং তারা মারা গেছেন কি না, তাও নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

তিনি আরও জানান, মিঠু দেওয়ান ফায়ার সার্ভিস কুমিরা শাখা আর নিপন চাকমা সীতাকুণ্ড শাখায় লিডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মিঠু দেওয়ান রাঙামাটি জেলা শহরের পশ্চিম ট্রাইবেল এলাকার বাসিন্দা ও নিপন চাকমা কলেজ গেট এলাকার বাসিন্দা।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ফায়ার সার্ভিস কর্মী, বিস্ফোরণ, রাঙামাটির
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন