সুদানে তুরস্কের উদ্ধারকারী বিমানে গুলি

fec-image

যুদ্ধে বিপর্যস্ত সুদানে নাগরিকদের উদ্ধারে যাওয়া তুরস্কের উড়োজাহাজে গুলি করার ঘটনা ঘটেছে। বিমানবন্দরে অবতরণের সময় উড়োজাহাজটিতে গুলি করা হয়। রাষ্ট্রীয় সামরিক বাহিনী অভিযোগ করছে, বিদ্রোহীরা তুর্কি বিমানে গুলি করেছে।

শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানী খার্তুমের উত্তরে সংঘাতের মধ্যে আটকে পড়া তুর্কি নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার মিশনে থাকা উড়োজাহাজটি অবতরণের আগে গুলি করা হয়। সুদান সেনাবাহিনীর অভিযোগ, আধা সামরিক র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এই গুলি করেছে।

সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, একটি তুর্কি সি-১৩০ সামরিক বিমান ওয়াদি সিদনা বিমানবন্দরে অবতরণের প্রস্তুতির সময় আরএসএফ বিমানটি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে জ্বালানি ট্যাংকের সামান্য ক্ষতি হয়েছে এবং একজন ক্রু আহত হয়েছেন। উড়োজাহাজটি অবশ্য নিরাপদে বিমানবন্দরে অবতরণ করতে পেরেছে। পরে সেটি সারানো হয়েছে।

সুদানের সেনাবাহিনী বিদ্রোহী আরএসএফ যোদ্ধাদের সতর্ক করে বলেছে, এ ধরনের ‘বিপজ্জনক আচরণ’ করে অন্য দেশের নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ যেন কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত করা না হয়।

আজ সকালের দিকে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে, সি-১৩০ সামরিক বিমানে গুলি করা হয়েছিল। বিমানটি সুদানে আটকে থাকা তুর্কি নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার মিশনে ছিল।

সুদানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী আরএসএফ আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৬০ জন নিহত এবং ৪ হাজার জনেরও বেশি আহত হয়েছে।

গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হলেও সংঘাত বেড়েই চলেছে। বিদেশি নাগরিকদের খার্তুম ও এর আশপাশের অঞ্চলগুলো ছেড়ে যেতে এবং ভারী অস্ত্রের লড়াই বন্ধ করে শান্তি প্রচেষ্টা শুরুর আশায় অস্ত্রবিরতি পরে আরও তিন দিন বাড়ানো হয়েছে। গত ১৫ এপ্রিল সুদানের রাষ্ট্রীয় সামরিক বাহিনী ও বিদ্রোহী আরএসএফের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন