সোনাদিয়ায় লুটপাটের ঘটনায় ৫শিশু সন্তান নিয়ে খোলা আকাশের নিচে সুফিয়া আক্তার

fec-image

মহেশখালীর উপ দ্বীপ সোনাদিয়া চরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৩টি বাড়ি ঘর লুটপাট করে, শিশু সন্তানসহ ঘর থেকে বের করে দিয়েছে সুফিয়া আক্তার নামে এক গৃহবধুকে। এঘটনায় শিশু সন্তানদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে চরম মানবেতর দিন যাপন করছে ওই গৃহবধু।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ অক্টোবর সকাল ১০টায় সোনাদিয়ার পশ্চিম পাড়ায় স্থানীয় মৃত সিরাজ মিয়ার পুত্র শহিদ মিয়া গং এর কাজ থেকে পাওনা টাকা চাইতে যায় একই এলাকার মো. আলম। ২০১৪ সালের মো. আলমের নিকট থেকে ৯৭ হাজার টাকা কর্জ নেয় শহিদ মিয়া গংরা। পাওনা টাকা চাইতে গেলে শহিদ মিয়া গংরা এক পর্যায়ে আলমের পরিবারের উপর হামলা চালায়। এসময় উভয় পক্ষ থেকে নারীসহ ৩ জন আহত হয়।

এঘটনায় শহিদ গংরা বাদী হয়ে মহেশখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা দায়ের হওয়ার পরের দিন শহিদ মিয়া, আজিম মিয়া, ওবাইদুল হক, সরওয়ার , রাসেল, শাহাদত, জামাল হোসেন, রুবেল, এলো আক্তার সহ ১০/১২ জনের একদল লাঠিয়াল বাহিনী রাতের আঁধারে আলমের অনুপস্থিতিতে তার বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে লুটপাট করে ঘরের সমস্ত আসবাব পত্র লুট করে নিয়ে যায়। তাদের ৮টি গৃহপালিত গরু লুট করে হামলা কারীরা। এসময় আলমের স্ত্রী সুফিয়া আক্তারকে তার ৫ শিশু সন্তান নিয়ে ধাওয়া করে সোনাদিয়া চর থেকে উচ্ছেদ করে।

এঘটনার পর খবর পেয়ে মহেশখালী থানার পুলিশ সোনাদিয়া দ্বীপে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে ঘটনার বিষয়ে এলাকাবাসীকে শান্ত থাকার কথা বলেন।

এদিকে আলম মামলার আসামি হওয়ার সুবাধে সোনাদিয়া চরে অবস্থান করতে না পারার কারণে তার বাড়িঘর লুটপাট করতে সাহস পায় বলে জানান এলাকাবাসী। অপর দিকে সুফিয়া আক্তার অসহায় হয়ে সম্প্রতি সময়ে মহেশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। গত ২৪ নভেম্বর এই মামলার তদন্ত করতে সোনাদিয়া চরে যায় পিবিআই একটি তদন্ত দল।

এসময় কান্না জড়িত কন্ঠে সুফিয়া আক্তার বলেন, তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার ৫০ লাখ টাকার সম্পদ নষ্ট করেছে তারা। এখন আমি ৫টি অবুঝ শিশু সন্তান নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসত করছি। এই ঘটনার একটি সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি প্রশাসনের কাছে।

এদিকে সোনাদিয়া চরে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, যারা এই নেক্কার জনক কাজটি করেছে তাদের বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ স্বাক্ষ দিবেনা, কারণ তারা এই দ্বীপে সব সময় ত্রাস সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রাখে। এই ঘটনার একটি সুষ্ঠু সমাধান দাবি করেন সোনাদিয়াবাসী।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন