“১০১ পরিবারের প্রায় ৪১৮ জন হিন্দু রোহিঙ্গা উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কুতুপালংস্থ সরকারি বন বিভাগের জায়গার উপর তাদের আশ্রয় শিবির।”

হিন্দু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চলছে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি

fec-image

ভিন দেশে দ্বিতীয় বারের মতো ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় শারদীয় দূর্গা পূজা উদযাপন করতে যাচ্ছে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে পালিয়ে আসা বাংলাদেশে আশ্রিত হিন্দু রোহিঙ্গারা।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট পরবর্তী মিয়ানমারের সামরিক জান্তার নির্যাতন-নিপীড়ন ও হত্যাযজ্ঞ থেকে প্রাণে বাঁচতে কক্সবাজারের উখিয়ায় আশ্রয় নেয় তারা। ১০১ পরিবারের প্রায় ৪১৮ জন হিন্দু রোহিঙ্গা উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কুতুপালংস্থ সরকারি বন বিভাগের জায়গার উপর তাদের আশ্রয় শিবির। সেখানে চলছে পূজা মণ্ডপসজ্জার কাজ।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের সন্নিকটে আরকান সড়কের পশ্চিম পার্শ্বে এসব বাস্তুচ্যুত হিন্দু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গেলে তাদের জীবন যাপন ও পূজামণ্পড প্রস্তুতির চিত্র দেখা যায়।

এ সময় হিন্দু রোহিঙ্গা ক্যাম্প কমিটির নেতা ইন্দ্র রুদ্র জানান, প্রশাসনের উদ্যোগে এবার হিন্দু শরণার্থী শিবিরে দুর্গাপূজা মণ্ডপ হচ্ছে। এ নিয়ে সবার মাঝে খুশির আমেজ বিরাজ করছে। আরেক হিন্দু রোহিঙ্গা নেতা শিশু শীল বলেন, তারা চাহিদা অনুযায়ী রেশন সামগ্রী পাশাপাশি যাবতীয় সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। এবারের পূজা উদযাপনে প্রয়োজনীয় নতুন কাপড়-চোপড় কিনতে কোন সমস্যা হয়নি বলে সে জানায়।

নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে সুনীল পাল ও রতন রুদ্র জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৪ ঘণ্টা প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী নিয়োজিত রয়েছে। তবে পূজা উপলক্ষে বাড়তি নিরাপত্তার প্রয়োজন আছে বিধায় অতিরিক্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শুক্রবার থেকে টহল দিচ্ছে। গতকাল শুক্রবার থেকে প্রশাসনের তদারকিতে পূজা মণ্ডপের কার্যক্রম শুরু হয়েছে জানিয়েছেন।

শুক্রবার (৪অক্টোবর) পূজা মণ্ডপ প্রস্তুতির কাজ সম্পন্ন হবে শনিবার (৫ অক্টোবর) থেকে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। প্রশাসনের সহযোগিতায় আগামী মঙ্গলবার (৮অক্টোবর) বিজয়ী দশমী হিন্দু শরণার্থী পূজা বিসর্জন দিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

হিন্দু রোহিঙ্গা নারী বিশু বালা জানান, আমরা কোন রকম এখানে আশ্রয় নিয়েছি। নিজ দেশের বাপ-দাদার বসত ভিটায় ফিরে যেতে চাই। স্বদেশে পূজা উদযাপন করতে পারলে ভালো লাগত। তবে এবার উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে শারদীয়া দুর্গাপুজা উদযাপন করা হবে। এ নিয়ে আমরা সবাই খুশি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন