বিশেষ ট্রাইবুনাল করে সন্তু লারমাসহ বাঙালীদের সকল হত্যাকারীর বিচার করতে হবে- আলকাছ আল মামুন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
পার্বত্য এলাকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনও হয়নি। শহীদ পরিবারগুলো ক্ষতিপূরণ পায়নি। বৈষম্যমূলক উপজাতি কোটা দিয়ে সকল রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা থেকে বাঙালিদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। বাঙ্গালিরা এখনও পার্বত্যাঞ্চলে সাংবিধানিক অধিকার পায়নি। ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকায় শান্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে সেনা ক্যাম্প স্থাপন বৃদ্ধি করতে হবে।তা না হলে আবারও পার্বত্যাঞ্চল অশান্ত হয়ে উঠতে পারে।
রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ আয়োজিত এক মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়ার এসব কথা বলেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ, ন্যাপ ভাসানী এর সভাপতি খন্দকার মোস্তাক হোসেন,পার্বত্য নাগরিক পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হামিদ রানা, পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য শেখ আহাম্মদ (রাজু), পিবিসিপি’র সিনিয়র সহ সভাপতি সারোয়ার জাহান খান, পিবিসিপি’র কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি প্রকৌশলী সাহাদাৎ ফরাজি সাকিব, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের দপ্তর সম্পাদক খলিলুর রহমান, ছাত্রনেতা মহিউদ্দিন, ছাত্র নেতা জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
মানববন্ধনে আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়া বলেন, ২৯ এপ্রিল ১৯৮৬ সালের তাইন্দং ও পানছড়ি গণহত্যা ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড। এর বিচার হওয়া উচিত।
তিনি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল করে সন্তু লারমাসহ সকল হত্যাকারীদের বিচার দাবী করেন। তিনি বলেন, এখনও শহীদ পরিবারগুলো ক্ষতিপূরণ পায়নি এবং বৈষম্যমূলক উপজাতি কোটা দিয়ে বাঙালিদেরকে সকল রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। সর্বক্ষেত্রে বাঙ্গালিরা এখনও সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। সেনা ক্যাম্প বৃদ্ধিসহ দ্রুত পার্বতাঞ্চলে নির্বাচনের দাবি করেন তিনি।
সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন, ১৯৭৯, ১৯৮৪ সালের ভূষণ ছড়া এবং ১৯৯৬ সালে পার্বত্য এলাকায় যে গণহত্যা চালানো হয়েছিল তার বিচার এখনও হয়নি। শান্তিবাহিনী‘র গেরিলা যোদ্ধারা সেই হামলায় এতগুলো মানুষকে হত্যা করতে একটি বুলেটও ব্যবহার করেনি।হাত-পা বেঁধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে, দা দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে, জবাই করে, আগুনে পুড়িয়ে, শিশুদেরকে পায়ে ধরে গাছের সাথে বাড়ি দিয়ে, বেনেট ও অন্যান্য দেশি অস্ত্র দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করেছিল। প্রতিটি লাশকেই বিকৃত করে সেদিন চরম অমানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল শান্তি বাহিনীর সন্ত্রাসীরা। এসব হত্যা মামলার বিচারের অপেক্ষায় এখনও রয়েছে শহীদের স্বজনরা। কিন্তু এসবের কি বিচার হবে? এসব প্রশ্নের কোন জবাব কেউ জানে না।