লামার সেই এক সন্তানের জননী প্রেমিকের বিরুদ্ধে আনলেন ধর্ষণের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি, বান্দরবান:
‘বান্দরবানের লামায় মদ খাইয়ে স্বামী পরিত্যক্তা নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ’ শিরোনামে পার্বত্যনিউজে সংবাদ প্রকাশের পর পুলিশ নুর হোসেনকে পুলিশী হেফাজতে এনেছে।
তবে নূর হোসেন নয়, প্রেমিক নূর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনলেন ভুক্তভোগী নারী।
ভুক্তভোগী নারী জানান, অভিযুক্ত নুর মোহাম্মদের সাথে প্রেমের সর্ম্পকের জের ধরে মানসিক কষ্টে থাকায় ঘটনার দিন নুর হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে মদ পান করেছিলেন তিনি।
তিনি দাবি করেন, নুর মোহাম্মদের সাথে তার এক বছর যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক চলছে। তারই সূত্র ধরে কয়েকবার শারীরিক সম্পর্কও হয়েছে। সর্বশেষ গত সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে তার বাড়িতে শারীরিক সম্পর্ক করে তারা।
তবে, নূর হোসেন তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করলেও তাকে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছে না। তাই মনের কষ্টে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে নুর হোসেনকে সাথে নিয়ে অংহ্লারী মার্মা পাড়ায় গিয়ে মদপান করেছি।
মদ পানের পর আমি ভারসাম্যহীন হয়ে পড়লে ইউপি মেম্বার কামাল উদ্দিন স্থানীয় চৌকিদার আনোয়ার হোসেনকে দিয়ে আমাকে উদ্ধার করে আমার মায়ের জিম্মায় দেয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে অংহ্লারিপাড়ার স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায়, ৬ বছর বয়সী এক সন্তানের জননী (২২) কে মদ খাইয়ে মাতাল করে জনৈক সবজি বিক্রেতা নূর হোসেনের নেতৃত্বে ২জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে।
এ ব্যাপারে সালিশি বৈঠকে থাকা ইউপি মেম্বার কামাল উদ্দিন বলেন, আমরা কোন বিচার করিনি। মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে পৌঁছে দিয়েছি।
ইউপি মেম্বার মো. শহিদুজ্জামান বলেন, মেয়েটি মাতাল থাকায় আমরা পরের দিন বৈঠকে বসার কথা বলেছিলাম।
এদিকে একই রাতে ১০টার দিকে ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হলে লামা থানার পুলিশ ভিকটিম ও নুর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লামা থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, ভিকটিম গণধর্ষণের বিষয়টি অস্বীকারের পাশাপাশি মামলা করতে চাচ্ছে না।
তবে ভিকটিম বড়ছনখোলা এলাকার নুর মোহাম্মদের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ও দৈহিক সম্পর্কের কথা বলছে। সে বিষয়টি আমলে নিয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। নুর হোসেনকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।