পানছড়িতে মোবাইল চোর সন্দেহে শিশুকে অমানবিক নির্যাতন
শাহজাহান কবির সাজু, পানছড়ি প্রতিনিধি ॥
খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজলায় মোবাইল চোর সন্দেহে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে এক শিশুকে। সে উপজেলা ৫নং উল্টাছড়ি ইউপির জিয়ানগর বাসিন্দা মৃত মাসুদ মিয়া ও রহিমা বেগমের ছেলে মো: ইউসুফ (১২)। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বিগত ৫/৬ দিন আগে ইউসুফসহ কয়েক শিশু পার্শ্ববর্তী বাড়িতে টিভি সিরিয়াল ঝিনুক মালা দেখতে গেলে ঐ বাড়ির একটি মোবাইল ফোন চুরি হয়।
এ ঘটনায় একই গ্রামের বখাটে সদ্য জেল থেকে আসা মিজানুর রহমানের ছেলে মো: সোহাগ মিয়া (২৫) ইউসুফকে মোবাইল চুরির ঘটনায় সন্দেহ করে। ঘটনার দিন শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে সোহাগ ও তার দুই সহযোগী ইউসুফকে তার বাড়ির পার্শ্ববর্তী পুকুর পাড়ে ডেকে নিয়ে মোবাইল চুরির সত্যতা স্বীকারের জন্য চাপ প্রয়োগ করে এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এক পর্যায়ে সোহাগ লোহার তৈরী প্লাস দিয়ে দুই সহযোগীর সহযোগিতায় চেপে ধরে ইউসুফের ডান পায়ের বড় আঙ্গুলের নখ তুলে ফেলে। এ সময় নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচার জন্য শিশুটি কাকুতি-মিনুতি করেও পাষন্ডদের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারেনি। খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে পানছড়ি থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো: কামাল মজুমদারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ইউসুফের বাড়িতে যায়। এ সময় শিশুটির চিকিৎসার জন্য পানছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।
এলাকার সমাজ সেবক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আবু তাহেরের সাথে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সে জানায়, অপরাধির কোন দল নাই। এটি একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। অপরাধির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে দৃষ্টান্তমূলক এমন শাস্তি প্রদান করা হোক যাতে ভবিষ্যতে এলাকায় এসব ঘটনা করার সাহস কেউ যেন না পায়।
এ ব্যাপারে আহত ইউসুফের মা রহিমা বেগম বাদী হয়ে সোহাগ মিয়া তার দুই সহযোগী ও ৩/৪জন অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। পানছড়ি থানার মামলা নং-০২ তারিখ-১৭/১০/২০১৫ইং।
পানছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ মো: আ: জব্বার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।