পাহাড়ে শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
নিজস্ব প্রতিনিধি:
পাহাড়ে শান্তি সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, শান্তি চুক্তির অধিকাংশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। চুক্তির ৭২টি শর্তের মধ্যে ৪৮টি শর্ত বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাঙামাটি জেলা পরিষদকে ৩০টি বিভাগ, বান্দরবান জেলা পরিষদকে ২৮টি বিভাগ এবং খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদকে ৩০টি বিভাগ হস্তান্তর করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, পাহাড়ে জটিল সমস্যা হলো ভূমি সমস্যা। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সহযোগিতা করলে এ সমস্যা নিরসন করা সম্ভব বলে তিনি জানান।
পার্বত্য চুক্তির বিশ বছর পূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (০১ ডিসেম্বর) সন্ধা সাড়ে ছয়টায় পাহাড়ের মানুষের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে এ কথা বলেন।
এদিকে রাঙামাটি চিংহ্লমংমারী স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স দেশ টিভির সৌজন্য সরাসরি সম্প্রসারণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, রাঙামাটি আসনের সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার, কেন্দ্রীয় আ’লীগের সদস্য দীপংকর তালুকদার, মহিলা সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ও জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম, ফিরোজা বেগমচিনু, চট্টগ্রাম বিভাগের জিওসি মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার, সংস্কৃতি সচিব ইব্রাহিম হোসেন খান, রাঙামাটি ব্রিগ্রেড কমান্ডার গোলাম ফারুক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান, পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান, দেশ টিভির কলাকৌশলীসহ রাঙামাটির সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন কর্মকর্তা ও স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর এ ভাষণ শুনতে স্থানীয় চিংহ্লমংমারী স্টেডিয়ামে হাজার জনতার ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।প্রধামন্ত্রী দেশ ও পাহাড়ের মানুষের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, ডিসেম্বর মাস বিজয়ের মাস। বঙ্গবন্ধুর হাতধরে এদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে।
তিনি বলেন, শ্রদ্ধা জানায় সে সকল শহীদদের যাদের রক্তের বিনিময়ে এ দেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে এদেশের এগিয়ে যাওয়ার পথ রুদ্ধ করে দেশের শত্রুরা বলেও তিনি জানান।