রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক আরাকান আর্মিতে যোগ দিতে বাধ্য করা হচ্ছে

fec-image

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পর এবার সে দেশের বিদ্রোহী আরাকান আর্মি জোরপূর্বক রোহিঙ্গাদের তাদের বাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য করছে। মিয়ানমারের স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের এ তথ্য জানা গিয়েছে।

খবরে জানা গেছে, আরাকান আর্মি (এএ) ২৩ এপ্রিল ২০২৪ উত্তর মংডু টাউনশিপের এনগান চাউং গ্রামের রোহিঙ্গা গ্রামবাসীদের সাথে বৈঠক করেছে।

আরাকান আর্মি (এএ) উত্তর মংডু টাউনশিপের নগান চাউং গ্রামের রোহিঙ্গা গ্রামবাসীদের সাথে বৈঠক করে এবং গত ২৩ এপ্রিল একজন মহিলা সহ তিনজন রোহিঙ্গা গ্রামবাসীকে অপহরণ করে।

এনগান চাউংয়ের একজন বাসিন্দা জানান, ১৬ জন এএ সদস্য সম্পূর্ণ সশস্ত্র অবস্থায় এসে এনগান চাউং রোহিঙ্গা গ্রামে প্রবেশ করে এবং এনগান চাউং গ্রামের রোহিঙ্গাদের সাথে বৈঠক করে। বেলা ১টার দিকে এনগান চাউং স্কুলে জোরপূর্বক রোহিঙ্গা বাসিন্দাদের একত্রিত করে।

এএ সদস্যরা এ সময় সভায় বক্তৃতা দেন যে, প্রতি পরিবারে এক বা দুইজন যুবককে অবশ্যই আরাকান আর্মি এএ-তে যোগ দিতে হবে এবং গ্রামবাসীরা যদি এনগান চাউং (Ngan Chaung) গ্রামে বাস করতে চায় তবে আরাকান সেনাবাহিনীর নির্দেশ অনুসারে কাজ করতে হবে।

খবরে বলা হয়েছে, ২৩ এপ্রিল সভায় অংশগ্রহণকারী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনগান চাউং গ্রামের একজন অংশগ্রহণকারী বলেছেন, “কমপক্ষে ৩০ জন রোহিঙ্গা সভায় যোগদান করেছিল, কারণ তাদের বাধ্য করা হয়েছিল এবং বাধ্য করে তাদের নাম জোরপূর্বক এএ-এর নিয়োগকৃত তালিকায় তালিকাভুক্ত করা হয়। মিটিং-এর অংশগ্রহণকারীদের এএ সদস্যরা হুমকি দিয়ে বলেন, “আপনি যদি এনগান চাউং গ্রামে থাকতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই আরাকান সেনাবাহিনীর জন্য কাজ করতে হবে এবং তাদের সেবা করতে হবে”।

খবরে বলা হয়, একই রাতে, এএ মায়ানমারের আরাকান রাজ্যের উত্তর মংডু টাউনশিপের নগান চৌং গ্রামের পার্শ্ববর্তী গুন্না ফারা গ্রামের এক মহিলাসহ তিন রোহিঙ্গা গ্রামবাসীকে অপহরণ করে।

অপহৃত পরিবারের একজন সদস্য জানান, এএ’র ১৬ জনেরও বেশি সদস্য সশস্ত্র অবস্থায় তাদের বাড়িতে ঢুকে পুরো বাড়িটি তল্লাশি করলেও তারা তাদের বিপরীত কিছুই পায়নি এবং এএ এক নারীসহ তিন রোহিঙ্গা গ্রামবাসীকে অপহরণ করে।

গুন্না ফারা রোহিঙ্গা গ্রাম থেকে অপহৃত রোহিঙ্গা গ্রামবাসীরা হলেন, মোহাম্মদ শাকাইর পুত্র সোলিম উল্লাহ, মোহাম্মদ তৈয়ুব পুত্র ইমান হুসেন এবং আকলামা ডি/ও এইচএফ রশিদ আহমেদ, যিনি আলী বট্টুর বোন। এখন পর্যন্ত তাদের কোন খবর পাওয়া যায়নি।

গ্রামবাসী আরো জানায়, এরকম আরো ঘটনা প্রতিদিন ঘটছে। ইতোপূর্বে আবুল কালোম (৫০), সোয়েদ (৩৫), আব্দুল আমিন (৫০), ইসলাম (৬৫) ও লুকমান হাকিম (৩০) কে ১৬ এপ্রিল থেত ইয়ে ওকে থেকে আরাকান আর্মি আটক করে। তাদের ২২ এপ্রিল হত্যা করা হয়েছিল এবং মংডু এর আকবরজ্জা গ্রামে চিংড়ি মাছের পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আরাকান আর্মি, জান্তা সরকার, মিয়ানমার
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন