অবশেষে টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু

fec-image

দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকার পর কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে আবারো পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। এতে পর্যটকদের স্বস্তির পাশাপাশি পর্যটন সংশ্লিষ্টদের মুখে হাসি ফুটেছে।

শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় ৬১০ জন পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে টেকনাফের দমদমিয়া ঘাট ছেড়ে যায় এমভি পারিজাত ও এমভি রাজহংস নামের দুটি জাহাজ।

শনিবার থেকে কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন, কেয়ারি সিন্দাবাদসহ আরো সাতটি জাহাজ চলাচল করার কথা রয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে শুক্রবার থেকে জাহাজ চলাচলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান।

টেকনাফ সেন্টমার্টিন জাহাজ চলাচল শুরু হওয়ায় পর্যটন নির্ভর ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা খুবই আনন্দিত। মো. ফারুক নামে এক ব্যবসায়ী জানান, আমরা পর্যটন নির্ভর ব্যবসায়ী ছিলাম। হঠাৎ করে জাহাজ চলাচল বন্ধ হওয়ায় পরিবার নিয়ে দুবেলা খেতে বেকায়দায় পড়তে হয়েছে। অনেক টাকা লোকসান হয়েছে। অবশেষে জাহাজ চলাচল হওয়ার স্বস্তি হলো।

সেন্টমার্টিনের ইউপি মেম্বার খুরশিদ আলম বলেন, সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা পর্যটক নির্ভর ব্যবসা ও আয় রোজগার করে থাকেন। এতোদিন টেকনাফ থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। জাহাজ চলাচল হওয়ায় ঈদের নতুন চাঁদ উঠার মতো খুশি সেন্টমার্টিনবাসী।

ঢাকা থেকে আসা ৪০ জনের একটি পর্যটক দল কাঠের বোটে করে সেন্টমার্টিন যাওয়ার জন্য টেকনাফে এসেছিলেন। হঠাৎ করে পর্যটক জাহাজ চলাচলের খবর পেয়ে টিকেট কেটে জাহাজে করে যাচ্ছেন। তাদের দীর্ঘ দিনের ইচ্ছে ছিল সেন্টমার্টিন ভ্রমণের। অবশেষে পর্যটক জাহাজে করে যেতে পারায় তারা সকলে বেজায় খুশি।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান জানান, সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করতে জাহাজ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরও উপজেলা প্রশাসন নিয়মিত বিষয়টি তদারকি করবে। এছাড়া পরিবেশ ক্ষতি হয় এমন কিছু যাতে না হয়, সেজন্য সকলকে সতর্ক করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, টেকনাফ উপজেলার দমদমিয়া জাহাজ ঘাট থেকে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নাফ নদীর বিভিন্ন জায়গায় বালুচর জেগে উঠাসহ মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের কারণে ১ নভেম্বর থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন