আদিবাসী বিষয়ক আইএলও কনভেনশন সমূহ বাস্তবায়নের দাবি সংসদীয় ককাসের

fec-image

“আদিবাসীর অধিকার: বাংলাদেশের আদিবাসীদের অধিকার রক্ষায় আইএলও কনভেনশন ১০৭ ও ১৬৯-এর ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা বাংলাদেশের আদিবাসীদের অধিকার রক্ষায় আইএলও কনভেনশন ১০৭ ও ১৬৯ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাস।

গতকাল মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) ডেইলি স্টার ভবনের আজিমুর রহমান হলে সভায় সভাপতিত্ব করেন আদিবাসী ও সংখ্যালঘু বিষয়ক সংসদীয় ককাসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান উপদেষ্টা রাশেদ খান মেনন এমপি এবং সঞ্চালনা করেন আদিবাসী ও সংখ্যালঘু বিষয়ক সংসদীয় ককাস-এর টেকনোক্র্যাট সদস্য জান্নাত-এ-ফেরদৌসী।

আলোচনায় অংশ নিয়ে সভাপতির বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন এমপি বলেন, আদিবাসীদের অধিকারের জন্য বাংলাদেশ- সংবিধানই যথেষ্ঠ, আইএলও-এর অনুবিধান অনুস্বাক্ষর করেও সেটা বাস্তবায়ন করছেনা, তাহলে অনুস্বাক্ষর করার দরকার কি ছিল? এই বিরোধীতা বন্ধ হওয়া দরকার।

প্রধান আলোচক হিসেবে সাংসদ র,আ,ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান আমরা যার যার ধর্মের বাহিরে গিয়ে ভাবতে পারিনা, এই বাঁধাটা ভাঙার ব্যবস্থা করতে হবে।

সংহতি বক্তব্যে ককাসের টেকনোক্র্যাট সদস্য ও সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধুর সময় যে ১০৭ কনভেনশন অনুস্বাক্ষর করা হয়েছে সেটি এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে রাষ্ট্র বাস্তবায়নের কোন উদ্যেগ নেয়নি। শুভেচ্ছা বক্তব্যে কাজল দেবনাথ বৈচিত্রপূর্ণ বাংলাদেশে সবাইকে নিয়ে বেঁচে থাকা যোজন যোজন দূরে চলে যাচ্ছি বলে মন্তব্য করেন। আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রথম-আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান বলেন, দেশে অর্থনৈতিক উন্নতি হবে কিন্তু উন্নয়নের জন্য ধ্বংস করা যাবেনা। বাংলাদেশে যতটুকু পাহাড়ি পরিবেশ অক্ষুন্ন আছে সেটা আদিবাসীদের জন্য রয়েছে।

এছাড়াও সমকালের উপদেষ্টা আবু সাঈদ খান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি ব্যবস্থা সুরাহা হয়না, সমতলের ভূমি কমিশন গঠিত হয়না, এর কারণ দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠের আধিপত্য বিদ্যমান। ফলে আদিবাসীরা সংখ্যাগরিষ্ঠের আধিত্যের যাতাকলে পিষ্ঠ হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। ILO- এর প্রোগ্রাম কোর্ডিনেটর অ্যালেক্স চিসাম বলেন, বাংলাদেশ সরকার আইএলও কনভেনশন ১০৭ ও ১৬৯ অনুসমর্থন করেছে ফলে প্রতি বছর যে প্রতিবেদন করা হয় সেখানে আদিবাসীদের অধিকারের প্রতি জোর দেওয়ার আহবান জানান। ধারণাপত্র উপস্থাপনে ককাসের টেকনোক্র্যাট সদস্য সঞ্জীব দ্রং বলেন হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছে কিন্তু আদিবাসীরা পিছিয়ে আছে। সুতরাং কাউকে পিছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাওয়া যাবেনা।

এছাড়াও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপি-এর শঙ্কর পাল, কারিতাসের পরিচালক থিউফিল নকরেক, ইউএন রেসিডেন্ট কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন