আমরা কেউ ক্ষুদ্র নই, সংখ্যায় কেউ বেশি বা কেউ কম : সংস্কৃতি উপদেষ্টা

fec-image

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনিস্টিটিউট থেকে ক্ষুদ্র শব্দটি বাদ দেয়ার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে বান্দরবানে মারমা সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান সামাজিক উৎসব সাংগ্রাই উপলক্ষে স্থানীয় রাজার মাঠে আয়োজিত মৈত্রী পানি বর্ষণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এ কথা জানান।

এ সময় উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘ক্ষুদ্র শব্দটি বলতে আমার নিজেরই খুব অস্বস্তি লাগে। আপনি যদি আপনার কোনো বন্ধুকে শুরুতেই বলেন তুমি ক্ষুদ্র আমি বৃহৎ তাহলে আপনি কিন্তু দূরত্বের জায়গাটা তৈরী করে ফেললেন, প্রপার সম্মানের জায়গাটা তৈরি করলেন না। যেকোনো কারণে হোক এ জিনিসটা শুরু থেকে জুড়ে ছিল।

তবে আমি যত দিন আছি এ মন্ত্রণালয়ে আমার প্রায়োরিটি হচ্ছে এ প্রতিষ্ঠানের নাম থেকে ক্ষুদ্র শব্দটা সরিয়ে দেয়া। এটা একটা ছোট্ট জিনিস হতে পারে। কিন্তু আমি মনে করি এটার একটা সিম্বলিক মূল্য আছে।’

ফারুকী বলেন, প্রতিষ্ঠানের নাম থেকে ক্ষুদ্র শব্দটা সরিয়ে দিতে এরই মধ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি। এটা আরেকটা ধাপ কাছে যাওয়ার। আরেকটা ধাপ বলার অর্থ হলো যে আমরা সবাই সমান। আমরা কেউ ক্ষুদ্র নই। সংখ্যায় কেউ বেশি বা কেউ কম, কে বড় বা কে ছোট এটা বিষয় নয়। আমরা ক্ষুদ্র হই বা বড় হই আমাদের কাজে।

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন মাধ্যমে এসেছে মানুষ এবারের মতো মাল্টিকালার বর্ষবরণ অনুষ্ঠান আগে কখনো দেখেনি। কেন দেখেনি? কারণ এবারের মতো বেশি মানুষ এর আগে কখনো যুক্ত হয়নি।’

‘বাংলাদেশটা যদি একটা পাজল হয়, তবে আমরা প্রত্যেকে তার একটা অংশ। তাই পাজলের একটা অংশ বাদ দিয়ে কখনো স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া যায় না’, যোগ করেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা।

সাংগ্রাই উপলক্ষে স্থানীয় রাজার মাঠে আয়োজিত মৈত্রী পানি বর্ষণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টার। তিনি আসতে না পারায় পরে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে মারমা সম্প্রদায়সহ পাহাড়ের বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীকে শুভেচ্ছা জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন