আরাকান আর্মির প্রস্তাবে কী করবে বাংলাদেশ?

fec-image

১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে ইউনাইটেড লিগ অব আরাকান (ইউএলএ) এবং এর সামরিক শাখা আরাকান আর্মি (এএ)-এর মুখপাত্র এক অনলাইন প্রেস কনফারেন্সে তাদেরকে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের অন্যতম স্টেকহোল্ডার দাবি করে বর্তমান প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়ায় তাদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে। জাতিসংঘের অধিবেশনকে সামনে রেখে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে আরাকান আর্মির এমন দাবি বেশ গুরুত্ব বহন করে। বর্তমান আরাকানের প্রায় অধিকাংশ অঞ্চল তারা প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করায় বাংলাদেশসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে তাদের ওই বার্তা আরাকানে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের নতুন দ্বার উন্মোচন করবে নাকি সংকটকে আরও ঘনীভূত করবে তা সময় বলে দেবে।

কিন্তু বিশ্ব সম্প্রদায় প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য আরাকান আর্মিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়ায় যুক্ত করলে সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকা কী হবে তা এখনই ঠিক করা জরুরি। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচিত বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের করণীয় ঠিক করা এবং নিজেদের মতের পক্ষে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বার্তা দেওয়া।

১০ এপ্রিল ২০০৯ সালে ইউনাইটেড লিগ অব আরাকান (ইউএলএ)-এর সামরিক শাখা হিসেবে আরাকান আর্মি প্রতিষ্ঠিত হলেও অল্প সময়ের মধ্যে আরাকান আর্মি মিয়ানমারের সবচেয়ে শক্তিশালী বিছিন্নতাবাদী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। এর প্রধান কারণ আরাকান আর্মি সেখানকার সাধারণ মানুষের মধ্যে অতি অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

প্রথমদিকে আরাকানিরা আরাকান আর্মিতে যোগ দেওয়ায় তাদের সন্তানদের ওপর ক্ষুব্ধ হলেও এখন তাদের চিন্তার পরিবর্তন হয়েছে। আরাকান আর্মিতে যোগ দেওয়ায় তরুণরা যেমন আগ্রহী, পরিবার থেকেও তাদের সমর্থন মিলছে। ফলে মিয়ানমারের চোখে আরাকান আর্মি বিছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন হলেও অনেক আরাকানিদের চোখে তারা স্বাধীনতাকামী।

আরাকানিরা আরাকানে সংখ্যাগরিষ্ঠ, দ্বিতীয় অবস্থানে আছে রোহিঙ্গা জাতির লোকেরা। তাই সংখ্যাগরিষ্ঠ আরাকানিদের সমর্থন ছাড়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরানো কঠিন হবে। মিয়ানমার সরকার আন্তর্জাতিক চাপে যদিও কখনও (এই সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ) রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ও তবে তাদের রাখাইনে শান্তিতে বাস নিশ্চিত করতে হলে আরাকানিদের সঙ্গে সমঝোতা করেই রোহিঙ্গাদের সেখানে বাস করতে হবে। তাই বাংলাদেশ থেকে আরাকানে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে মিয়ানমার সরকারের মতো আরাকানিরা কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। আরাকানিদের মধ্যে ইউনাইটেড লিগ অব আরাকান ও তাদের সামরিক শাখা আরাকান আর্মির প্রভাব থাকায় তাদের বাদ দিয়ে তাই রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবর্তন কঠিন হবে। বিছিন্নতাবাদী সংগঠন হওয়ায় আরাকান আর্মির সঙ্গে সরাসরি আলাপ-আলোচনার সুযোগ কম। কিন্তু অসমর্থিত চ্যানেলে আলোচনা করা যায় কিনা বাংলাদেশ সরকারসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সেটা ভাবতে পারে।

দুই.

বর্তমানে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর সাথে সংঘাতরত আঞ্চলিক স্বাধীনতাকামী বা বিছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোর মধ্যে আরাকান আর্মি সবচেয়ে শক্তিশালী। ফলে ওই সামরিক দলকে নিয়ন্ত্রণ করতে মিয়ানমার সেনাবাহিনী বাংলাদেশের সীমান্তে সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে। ওই অঞ্চল ভৌগোলিক-রাজনৈতিক সীমারেখায় বর্তমান মিয়ানমারের অংশ হলেও তার ওপর মিয়ানমার সরকার ও সামরিক বাহিনীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই। ফলে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষা অঞ্চলের ওপর পূর্ণ নজরদারি করতে ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় নতুন সীমান্ত চৌকি স্থাপন করছে। আর ওই নতুন সামরিক চৌকি স্থাপন আরাকান আর্মি ভালোভাবে নেয়নি বলে তারা মিয়ানমার সামরিক সরকারের সঙ্গে থাকা শান্তি চুক্তি ভঙ্গ করে সামরিক অভিযানে নেমেছে। ওই সামরিক অভিযানের ফলে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর সঙ্গে তাদের লড়াইয়ের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সীমান্তের মধ্যে গুলি ও মর্টার শেল পড়েছে।

অনুসন্ধান ও সরকারি ভাষ্য বলছে, বাংলাদেশের মধ্যে গুলি ও মর্টার শেল মিয়ানমার সামরিক বাহিনী নয়, আরাকান আর্মি ফেলেছে। তাদের দুর্বল ও নিম্নমানের মর্টার শেল ব্যবহার এবং আধা প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সৈন্যরা এমন অপারেশনে যুক্ত থাকা এর জন্য দায়ী। তবে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর সামরিক বিমান যে বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে, তাও সত্য। ফলে বাংলাদেশের সীমান্তবাসীর ঘুম হারাম করা তাদের জীবন নিরাপত্তাহীন করে তোলার ক্ষেত্রে উভয়পক্ষ: আরাকান আর্মি এবং মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর দায় রয়েছে। ইতোপূর্বেও আরাকান আর্মি বাংলাদেশের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে।

২০১৫ সালের ২০ আগস্ট বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ (বিজিবি) আরাকান আর্মির দশটি ঘোড়া বাজেয়াপ্ত করে। ওই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে আরাকান আর্মির সদস্যরা ২৭ আগস্ট বান্দরবন জেলার থানচির বড় মোদক এলাকায় মিয়ানমার বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সুতরাং আরাকান আর্মির বাংলাদেশকে লক্ষ্য করে সামরিক সংঘাতে জাড়ানোর এমন মনোভাবের কারণে তাদেরকে বাংলাদেশ কতটা বিশ্বাস করতে পারে তাও অবশ্যই প্রশ্নসাপেক্ষ।

দ্বিতীয়ত, আরাকান আর্মি নিজেদের আরাকানের স্বাধীনতাকামী সংগঠন দাবি করলেও আরাকানের সব মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করছে প্রচার করলেও তাদের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের ওই অর্থে সুসম্পর্ক নেই। আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার সরকারের মতো অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি ভাবে নাকি তাদের ভাই হিসেবে স্বীকৃতি দেয় তা অস্পষ্ট। রোহিঙ্গাদের জাতি পরিচয় নিয়ে আরাকান আর্মির বক্তব্য কী তা জানা দরকার সবার আগে।

আরাকান আর্মিতে কেবল আরাকানিরা নিযুক্ত লাভ করে। কিন্তু তারা চাইলে খুব সহজে তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় রোহিঙ্গাদের সামরিক-বেসামরিক প্রশাসনে নিযুক্ত করতে পারতো। রোহিঙ্গাদের তাদের ‘ভাই’ মনে করলে তারা বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের আরাকানে ফেরত যাওয়ার আমন্ত্রণ জানাতে পারতো এবং তারা যেসব এলাকায় প্রভাব রাখে সেখানে রোহিঙ্গাদের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারতো। কিন্তু আরাকান আর্মি এসব কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। বরং তারা সম্প্রতি সীমান্ত অঞ্চলের রোহিঙ্গা ক্যাম্প লক্ষ্য করে মর্টারের শেল ছুঁড়েছে। ওই শেলে একজন রোহিঙ্গা নিহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

তাই আরাকান আর্মিকে বিশ্বাস করার আগে বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত রোহিঙ্গাদের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি কী তা পরখ করে নেওয়া। অন্যথায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে স্টেক হোল্ডারের সংখ্যা বাড়ালে আরাকানে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন ঝুলে যেতে পারে। মিয়ানমার সরকার রাজি হলেও আরাকান আর্মির অনীহার কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন বন্ধ হতে পারে। কারণ আরাকানে সুস্পষ্টভাবে দুইটি পক্ষ কাজ করছে: আরাকান আর্মি এবং মিয়ানমার সামরিক বাহিনী। উভয়পক্ষই সশস্ত্র হওয়ায় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনে দুটি পক্ষেরই সমর্থন দরকার। একটি পক্ষ রাজি হলে অন্যপক্ষ বিরোধিতা করলে রোহিঙ্গাদের আরাকানে ফিরে শান্তিপূর্ণভাবে বাস করা কঠিন হবে। কারণ গররাজি পক্ষের দ্বারা সামরিক হামলার সম্ভবনা থেকে যাবে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে আরাকান আর্মির আলোচনার আগ্রহকে এখনই খারিজ না করে বাংলাদেশ ও বিশ্বসম্প্রদায়ের উচিত সতর্কতার সাথে আরাকান আর্মির মনোভাব পর্যবেক্ষণ করা। মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে তাদের সামরিক শক্তির উত্থান-পতনের ক্রমধারা লক্ষ্য রাখা। অবশ্যই বাংলাদেশ ও বিশ্ব সম্প্রদায় আরাকানের অরাজনৈতিক-রাজনৈতিক সমাজের সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন নিয়ে কাজ করতে পারে। ওই অরাজনৈতিক-রাজনৈতিক সম্প্রদায়ের মধ্যেই আরাকান আর্মির নাড়ি পোতা। ফলে অরাজনৈতিক-রাজনৈতিক সমাজ যদি রোহিঙ্গাদের প্রতি ইতিবাচক হয় এবং তাদের মাতৃভূমিতে ফেরাতে আগ্রহী হয় তাহলে আরাকান আর্মি এবং মিয়ানমার সেনাবাহিনী উভয়েরই তার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া কঠিন হবে।

একদিকে রোহিঙ্গা অন্যদিকে আরাকানি, মিয়ানমারের প্রধান দুই সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে আরাকান শাসন করা তখন মিয়ানমার সামরিক সরকারের পক্ষে সহজ হবে না। পাশাপাশি আরাকান আর্মির শক্তির উৎস আরাকানি সমাজের মধ্যে থাকায় তাদের পক্ষে রোহিঙ্গাদের পক্ষ নেওয়া আরাকানি সমাজের বিরোধিতা করা কঠিন হবে। তাই আরাকান আর্মি বা মিয়ানমারের সামরিক সরকারের সঙ্গে আলোচনার মতো আরাকানি মূল সমাজে রোহিঙ্গাদের পক্ষে সহানুভূতিশীল রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক পক্ষ তৈরি করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওই বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।

বাংলাদেশসহ বিশ্বসম্প্রদায়ের আরাকানের মূল সমাজে রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করার কোনও তৎপরতা আজও চোখে পড়েনি। সামরিক সরকারের বিধি-নিষেধ ও নিয়মিত সংঘাত আরাকানের ভাগ্য হওয়ায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সেখানে কাজ করা কঠিন, এটা সত্য, কিন্তু অসম্ভব নয়। বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের স্থায়ী ডেসটিনি হতে পারে না। আরাকানেই তাদের ভাগ্য গড়তে হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এই বিষয়টি মনে রাখা দরকার। সুতরাং তাদের উচিত আরাকানে রোহিঙ্গাদের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা। সেটা আরাকানি সমাজের সমর্থন ছাড়া সম্ভব হবে না। তাই ওই সমাজে রোহিঙ্গাদের প্রতি যে নেতিবাচক ধারণা আছে তা দূর করতে এখনই কাজ শুরু করতে হবে। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের কেবলমাত্র ধর্মের মিল থাকলেও তারা যে বাংলাদেশি নয় তা আরাকানের সাধারণ মানুষকে বোঝানো দরকার।

আরাকানের সাধারণ মানুষের মধ্যে ওই বিষয়টি ব্যাপক প্রচার হলে এবং তারা তা বিশ্বাস করলেই কেবল রোহিঙ্গাদের প্রতি আরাকানি সমাজের সহানুভূতি জাগবে। বাংলাদেশ সরকারও ওই বিষয়টি ভাবতে পারে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ণ করতে পারে। যতদিন পর্যন্ত আরকানের মূল সমাজের এই বিশ্বাস তৈরি না হবে, রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি নয়, তারা আরাকানের সন্তান, ততদিন যতচেষ্টা করাই হোক না কেন রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান হবে না। রাজনৈতিক, কটূনৈতিক, সামরিক পদক্ষেপের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের আত্মপরিচয়ের বিশ্বাসযোগ্য বয়ান তৈরি এবং তা আরাকানি মূল সমাজের মধ্যে প্রচার করা তাই সবচেয়ে বেশি জরুরি।

সামরিক জান্তার বিধি-নিষেধ থাকায় গণমাধ্যম বা সেমিনার সিম্পোজিয়ামের মাধ্যমে আরাকানের সাধারণ মানুষের মধ্যে রোহিঙ্গাদের নিয়ে প্রচার-প্রচারণা করা কঠিন। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার চাইলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তায় উপর্যুক্ত বিষয় নিয়ে আরাকানের স্থানীয় ভাষাসহ বার্মিজ ভাষায় নিয়মিত রেডিও অনুষ্ঠান প্রচার করতে পারে। আরাকানে এখনও রেডিও বেশ জনপ্রিয়। স্থানীয় জনসমর্থন ছাড়া রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী কোনও সমাধান হবে না, বাংলাদেশ সরকারসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ওই বিষয়টি সবার আগে বোঝা দরকার।

পাশাপাশি আরাকান আর্মি যদি সত্যিকার অর্থে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে আন্তরিক হয় তাহলে বাংলাদেশ সরকারসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলে তাদের সহায়তা নিতে পারে। তাদের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা আরাকানি মূল সমাজে প্রচার করতে পারে। আরাকানি সমাজের ওপর তাদের প্রভাব থাকায় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের পক্ষে আরাকানি সমাজে জনসচেতনতা তৈরিতে আরাকানি আর্মির প্রচারণা তাই সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হবে। বাংলাদেশ সরকারসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উপর্যুক্ত বিষয়গুলো গভীরভাবে ভাববে বলে আমরা আশা করি।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

[email protected]

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আরাকান আর্মি, বাংলাদেশ, মিয়ানমার
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন