ইউরো বাছাইয়ে ১৪ গোলে জিতল ফ্রান্স, এমবাপের হ্যাটট্রিক

ইউরো বাছাইয়ে শক্তি-সামর্থ্যে পিছিয়ে থাকা জিব্রাল্টারকে নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করল ফ্রান্স। প্রতিপক্ষকে গোল বন্যায় ভাসিয়ে দিল দলটি। গড়ল দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড। গোল উৎসব করে সাবেক চ্যাম্পিয়ন দলটি ১৪ গোলে জয় পেয়েছে।
এটি শুধু ইউরো বাছাইয়েই নতুন রেকর্ড নয়। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সঙ্গে তুলনা করলেও এটি বড় জয়। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ২০০৬ সালে জার্মানি সান মারিনোকে ১৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল। তাছাড়া নিজেদের ফুটবল ইতিহাসেও ফরাসিদের এত বড় জয় আগে ছিল না।
ম্যাচের শুরু থেকেই জিব্রাল্টারকে নিয়ে ছেলেখেলা করতে থাকে ফ্রান্স। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ১৯৮ নম্বরে থাকা দলটির বিপক্ষে ফ্রান্সের ৯ খেলোয়াড় গোলের খাতায় নাম লিখিয়েছে। তবে গোলের সূচনা তারা করতে পারেননি, বরং করেছিল জিব্রাল্টার। তৃতীয় মিনিটে আত্মঘাতি গোলে সুবাদে এগিয়ে গিয়েছিল ফ্রান্স। শুরুতেই জিব্রাল্টার লাল কার্ড পাওয়ায় ফ্রান্সের গোল উৎসবের পথটা সহজ হয়ে যায়।
গোলবন্যার ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছেন অধিনায়ক কিলিয়ান এমবাপ্পে। জোড়া গোল করেছেন কিংসলে কোমান ও অলিভার জিরু। একটি করে গোল করেছেন উসমান দেম্বেলে, মার্কাস থুরাম, আদ্রিয়ান রাবিও, ওয়ারেন জাইরে-এমেরি, জোনাথান ক্লাউস ও ইউসুফ ফোফানা।
ফরাসিরা আগেভাগে চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত হওয়ায় এদিন অভিষেকের সুযোগ হয়েছে ১৭ বছর বয়সী জায়ার এমেরির। ১৯১৪ সালের পর সর্বকনিষ্ঠ ফরাসি খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেক করার কীর্তি গড়েছেন তিনি। পাশাপাশি সর্বকনিষ্ঠ হিসেবেও গোল করার কীর্তি গড়েছেন। মাত্র ১৬ মিনিটের মধ্যে গোলের দেখা পান এ টিনএজার। তবে বেশিক্ষণ মাঠে থাকতে পারেননি। গোল করার পরও অভিষেকটা আনন্দময়ও হয়নি তার। মারাত্মক ফাউলের শিকার হয়ে ২০ মিনিটের সময় মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। ১৯১৪ সালের পর এই প্রথম ফ্রান্স দলে এত কম বয়সী খেলোয়াড়ের অভিষেক হলো।