শীর্ষে থেকেই ইউরোর চূড়ান্ত পর্বে ইংল্যান্ড

fec-image

শীর্ষস্থান অক্ষুণ্ন রেখেই ইউরোর চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিয়েছে ইংল্যান্ড। পুরো বাছাই পর্বে যেভাবে খেলেছিলো ইংলিশরা, তাতে শেষ ম্যাচে জয় দিয়েই শেষ করতে চেয়েছিলো তারা; কিন্তু জয় তো দুরে থাক, পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তেই চলে গিয়েছিলো ইংল্যান্ড। ভাগ্য ভালো, দ্বিতীয়ার্ধে একটি আত্মঘাতি গোলে অন্তত ড্র করতে সক্ষম হলো তারা।

মাল্টার বিপক্ষে যে দলটি নিয়ে শুক্রবার খেলেছিলো ইংলিশরা, ওই ম্যাচে ৬টি পরিবর্তন এনে মেসিডোনিয়ার বিপক্ষে একাদশ মাঠে নামান গ্যারেথ সাউথগেট।

নর্থ মেসিডোনিয়ার মাঠেই খেলতে গিয়েছিলো ইংলিশরা। কিন্তু স্বাগতিকদের গোছানো ফুটবলের সামনে প্রথমার্ধেই পিছিয়ে পড়েছিলো সফরকারীরা। ৪১তম মিনিটে গোল করেন মেসিডোনিয়ান ফুটবলার এনি বার্ধি।

প্রথমে পেনাল্টি পেয়েছিলো মেসিডোনিয়া। এনিস বার্ধিই শট নিয়েছিলেন। কিন্তু তার শট ফিরিয়ে দেন ইংলিশ গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড; কিন্তু ফিরতি বলটিই আবার ইংল্যান্ডের জালে জড়িয়ে দেন বার্ধি।

গোল হজম করে ইংল্যান্ড ফুটবলাররা মরিয়া হয়ে ওঠে সেটি পরিশোধ করার জন্য। কিন্তু স্বাগতিক কঠিন ডিফেন্সের সামনে সেটা আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তবে, খেলার ৫৯তম মিনিটে আত্মঘাতি গোলে সমতায় ফেরে ইংলিশরা। ইয়ানি আতানাসভ নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দেন।

ম্যাচের শুরুতেই গোল পেয়েছিলেন জ্যাক গ্রিলিশ। কিন্তু অফসাইডের কারণে বাতিল করে দেয়া হয় সেই গোল। অভিষিক্ত টিনেজার ফুটবলার রিকো লুইস ম্যাচটিকে ভুলে যেতে চাইবেন। তার কারণেই পেনাল্টি পেয়েছিলো মেসিডোনিয়া।

এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে অপরাজিত থেকে চলতি পঞ্জিকাবর্ষ শেষ করলো ইংলিশরা। ২০২৩ সালে আর আন্তর্জাতিক ম্যাচে মাঠে নামবে না হ্যারি কেইন অ্যান্ড কোং। ইউরো বাছাইয়ে ‘সি’ গ্রুপে ২০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকেই গেলো চূড়ান্ত পর্বে।

কোচ গ্যারেথ সাউথগেট বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় ফলটি এসেছিলো গত মার্চে। ইতালির বিপক্ষে যে ম্যাচটি (২-১) জিতেছিলাম আমরা। এছাড়া ইউক্রেনের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ২-০ ব্যবধানে যে জয়টি পেয়েছিলাম।’ তবে, গোলের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয়টি ইংল্যান্ড পেয়েছিলো মেসিডোনিয়ার বিপক্ষেই। ঘরের মাঠে ৭-০ গোলে দলটিকে হারিয়েছে তারা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন