ইটছড়ি মৈত্রীপুর ভাবনা কেন্দ্রে দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত


‘চিরাং তিটঠাতু বুদ্ধ সাসনম’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে খাগড়াছড়ি ইটছড়ি মৈত্রীপুর ভাবনা কেন্দ্রে বৌদ্ধধর্ম পুনর্জাগরণে বাংলার শত বছরের ইতিহাসের অবিস্মরণীয় ৮৪ জন মহাস্থবিরসহ দেড়শতাধিক মহান ভিক্ষুসংঘের উপস্থিতিতে প্রথমবারের মতো মহা দানোত্তম কঠিন চীবর দানানুষ্ঠান উদযাপন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) দিনব্যাপী ইটছড়ি মৈত্রীপুর ভাবনা কেন্দ্রের প্রাঙ্গণে বর্ণিল আয়োজনে এ ১ম দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এ উপলক্ষে সকাল থেকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নর-নারীরা দেশ জাতি তথা সকলের হিতসুখ মঙ্গল কামনায় বৌদ্ধ ভিক্ষুদের নিকট থেকে পঞ্চশীল গ্রহণেরপর হাজার হাজার বৌদ্ধ ভিক্ষুদের নিকট বুদ্ধ মুর্তি দান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, কল্পতরু দান, বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পিণ্ড দানসহ নানাবিধ দান, স্বধর্ম দেশনা ও শ্রবণ করেন। এছাড়াও তুলা থেকে ছুতা তৈরি করে এরপর চীবর তৈরি করে বিকালে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের উদ্দেশ্যে দান করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত দায়ক-দায়িকাদের উদ্দেশ্যে দেশনায় নিজের দেশ-জাতিকে সবার ঊর্ধ্বে রেখে আন্ত: সম্প্রদায় শান্তি, সুরক্ষা এবং দেশ ও পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল মানুষের সমৃদ্ধি কামনার ওপর গুরত্বারোপ করেন।
এ সময় এ ভাবনা কেন্দ্রের দানোত্তম কঠিন অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা ও তাঁর সহধর্মিণী রিপা চাকমা, জেলা পরিষদের সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, ধীমান খীসা, বাবুরাম চাকমা ,গামারীঢালা বনবিহারের অধ্যক্ষ বোধিপাল মহাথের, রাঙামাটি রাজ বনবিহারের আবাসিক প্রধান প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির, রাজ বন বিহারের শান্তি প্যাগোড’র পরিচালক সৌরজগত মহাস্থবির, নানিয়াচর রত্নাংকুর বনবিহারের অধ্যক্ষ বিশুদ্ধানন্দ মহাস্থবির, ইটছড়ি মৈত্রীপুর ভাবনা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ বিমলানন্দ মহাস্থবির প্রমুখ।
এছাড়াও মৈত্রীপুর ভাবনা কেন্দ্রের হাজার হাজার দায়ক-দায়িকা ও উপাসক-উপাসিকা উপস্থিত ছিলেন।