এলএনজি টার্মিনাল চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় সামিট
ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সামিট গ্রুপ।
বুধবার (৯ অক্টোবর) সিঙ্গাপুর থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নিজেদের এই আহ্বানের কথা জানায় কোম্পানিটি।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বিশেষ আইনে সামিটের সঙ্গে দৈনিক ৬০০ মিলিয়ন ক্ষমতার একটি এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের চুক্তি করে সাবেক আওয়ামী লীগ সরকার। অন্তবর্তী সরকার এসে ওই চুক্তিটি বাতিল করে দেয়।
প্রেস রিলিজে বলা হয়েছে, সামিট গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান সামিট এলএনজি টার্মিনাল-২ কোম্পানি লিমিটেড (এসএলএনজি-২) দেশে তৃতীয় ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) প্রকল্প বন্ধ করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। সামিট ৭ অক্টোবর পেট্রোবাংলা থেকে কক্সবাজারের মহেশখালীতে অবস্থিত প্রকল্পটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত জানতে পেরেছে।
সামিট বলছে, চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে পেট্রোবাংলা তাদের জানিয়েছে- টার্মিনেশন নোটিশটি এই ভিত্তিতে জারি করা হয়েছিল যে ৩০ মার্চ ২০২৪ তারিখে স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলো কার্যকর হয়নি। কারণ নির্ধারিত ৯০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ২৮ জুন ২০২৪ তারিখে পারফরম্যান্স বন্ড জমা দেওয়া হয়নি। এসএলএনজি-২ জানায়, ওই তারিখটি শুক্রবার (বাংলাদেশে ব্যাংকিং দিবস না) পড়ায় পেট্রোবাংলার স্বীকৃতি দিয়ে সম্ভাব্য পরবর্তী কর্মদিবসে পারফরম্যান্স বন্ড হস্তান্তর করা হয়।
এসএলএনজি-২ এর আইনজীবীরা নিশ্চিত করেছেন, গত ৩০ মার্চের চুক্তির কোনও ধারা লঙ্ঘন হয়নি। এ ধরনের ঘটনা ঘটলে ৩০ দিনের মধ্যে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট পক্ষকে জানানোর বিধান থাকলেও সেটি পেট্রোবাংলার তরফ থেকে এসএলএনজি-২ কে জানানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত মহেশখালী টার্মিনাল (দ্বিতীয় এফএসআরইউ) সামিট গ্রুপ কর্তৃক গৃহীত দ্বিতীয় ভাসমান গ্যাস টার্মিনাল প্রকল্প যার পরিকল্পিত ক্ষমতা দৈনিক ৬০০ মিলিয়ন স্ট্যান্ডার্ড ঘনফুট।
সামিট তাদের বিজ্ঞপ্তিতে বলছে, ২০২০ সালের শেষের দিকে বাংলাদেশ সরকার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে পরিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের ব্যবহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সামিট, পেট্রোবাংলা এবং রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (আরপিজিসিএল) এর সহযোগিতায় ২০২৩ সালের ১২ অক্টোবর টার্মিনাল ব্যবহার চুক্তি (টিইউএ) এবং বাস্তবায়ন চুক্তি (আইএ) চূড়ান্ত করেছে। এগুলো আইনগতভাবে যাচাই-বাছাই করে ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভা কমিটি অনুমোদন করেছে।
সামিটের কোম্পানি এসএলএনজি-২ গত ৩০ মার্চ পেট্রোবাংলা ও বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে দ্বিতীয় এফএসআরইউ-এর জন্য টিইউএ এবং আইএ স্বাক্ষর করে। একই দিনে এসএলএনজি-২ টার্মিনাল ২০২৬ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া পেট্রোবাংলায় ১৫ লাখ টন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী বিক্রয় ও ক্রয় চুক্তি (এসপিএ) স্বাক্ষর করে।