কক্সবাজারে  ৪,৮০,৪৫৫  শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে

fec-image

আগামী ৫ থেকে ১৯ জুন জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন। এই সময়ে কক্সবাজার জেলায় ৪ লক্ষ ৮০ হাজার ৪৫৫ জন শিশুকে বয়সভেদে একটি করে ‘নীল’ ও ‘লাল’ রঙের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ক্যাম্পেইন চলবে। একটি পৌরসভা ও জেলার ৭২ ইউনিয়নে স্থায়ী, অস্থায়ী মিলে মোট ১৯৫১টি টিকাদানকেন্দ্রে ২০৮ জন স্বাস্থ্য সহকারী কাজ করবে। এছাড়া ১৭৩ জন পরিবার কল্যাণ সহকারী, ৫৪০৭ জন স্বেচ্ছাসেবক ও ২১৬ জন তত্ত্বাবধায়ক থাকবে। জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে ‘সাংবাদিক অবহিতকরণ সভা’ ডেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ জুন) সকালে জেলা ইপিআই স্টোর সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় সিভিল সার্জন ডাঃ মাহবুবুর রহমান স্বাগত বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ক্যাম্পেইন চলাকালে কোথাও স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের দৃশ্য দেখলে নেতিবাচক সংবাদের পরিবর্তে সরাসরি আমাকে জানাবেন। টিকা নিয়ে অপপ্রচারের সুযোগ নাই।

সিভিল সার্জন ডাঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, কোভিট-১৯ রিপোর্টে সারাদেশে আমরা টপটেনে। সেটি সৌভাগ্য নাকি দুর্ভাগ্য জানি না। এটি আমাদের জন্য অস্বস্তিকর। পরিস্থিতিতে ভীত না হয়ে সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, এক সময় ভিটামিন ‘এ’ অভাবে রাতকাণা রোগে অনেকে মারা যেত। এখন রাতকাণায় মৃত্যুর সংবাদ শোনা যায় না।

ভিটামিন ‘এ’ শিশুর রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং শিশুর মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। সব শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুলের আওতায় আনার চেষ্টা থাকবে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন। তার মতে, ভিটামিন এ ঘাটতি পূরণ করার মাধ্যমে শিশু মৃত্যুর হার ২৩ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব। ৪ মাস আগে যারা ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেয়েছে এবং মারাত্মক অসুস্থ এমন কোন শিশুকে ক্যাপসুল দেওয়া হবে না।

জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সিরাজুল ইসলাম সবুজের সঞ্চালনায় সাংবাদিক অবহিতকরণ সভায় মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন জেলা সিভিল সার্জন অফিসের ডা. সৌনম বড়ুয়া।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, কক্সবাজার জেলায় ৬-১১ মাস বয়সী শিশু ৬১,১৩০ জন এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশু ৪,১৯,৩২৫ জন।

মারাত্মক অসুস্থ ছাড়া ৫ থেকে ৫৯ মাস বয়সী যে কোনো শিশু ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেতে পারবে। শিশুদের ভরপেটে ক্যাপসুল খাওয়ানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন