কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঘোষণার প্রজ্ঞাপন জারি


সিভিল এভিয়েশন রুলস এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসাবে ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের চূড়ান্ত অনুমোদনের পরেই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
১২ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সি১-শাখার যুগ্মসচিব আহমেদ জামিল স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘দি সিভিল এভিয়েশন রুলস ১৯৮৪ এর রুল ১৬ এর সাব রুল (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার কক্সবাজার বিমানবন্দরকে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসাবে ঘোষণা করিল।’
প্রজ্ঞাপনে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হইবে।’
বেবিচক ও কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র বলছে, এই প্রজ্ঞাপন জারির ফলে কক্সবাজার রুটে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট শীঘ্রই শুরু হতে যাচ্ছে এবং এ লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের পরিচালক গোলাম মুর্তজা হোসেন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন সুবিধা ইতোমধ্যে প্রস্তুত রয়েছে। কিছু কাজ বাকি থাকলেও অনুমোদন পাওয়ায় এ মাসেই আন্তর্জাতিক ফ্লাইট শুরু হতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে।’
কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করায় পর্যটন সংশ্লিষ্টরা সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
কক্সবাজার জেলার সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, বিমানবন্দরের রানওয়ে বর্তমানে ৬ হাজার ৭৯০ ফুট থেকে ৯ হাজার ফুটে সম্প্রসারিত হয়েছে এবং প্রস্থ ১৫০ ফুট থেকে ২০০ ফুট করা হবে। রানওয়ের লোড ক্ষমতা শক্তিশালী করা হবে, ওয়াইড-বডি বিমান চলাচলের জন্য প্রস্তুত করা হবে এবং রানওয়ে লাইটিং আপগ্রেড করা হবে। নতুন আন্তর্জাতিক পর্যায়ের জন্য ১০ হাজার ৯১২ দশমিক ৪৯ বর্গফুট ভবন এবং ৪৯ হাজার ৭৫৩ বর্গফুট সংযোগ ট্যাক্সিওয়ে নির্মাণ করা হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে দেশের ৩টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, রাজধানী ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় অবস্থিত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং সিলেটে অবস্থিত ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।


















