কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচন: ইভিএমে ভোট গ্রহণে ধীরগতি
কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ চলছে।
সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮টা থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি দেখা গেছে। তবে ভোট গ্রহণে ধীরগতির অভিযোগ করেছেন ভোটাররা।
সকাল থেকে পৌরসভার বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সব কেন্দ্রেই নারী-পুরুষ ভোটারের উপস্থিতি লক্ষণীয়। এসব কেন্দ্রে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ভোট কাস্টিং হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা।
কক্সবাজার সদরের বাহারছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল ৯টায় ভোট দেন মোহাম্মদ জুনাইদ। তিনি অভিযোগ করেন, ভোট গ্রহণ অত্যন্ত ধীরগতি।
সৈকত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মোট ভোটার ১ হাজার ১৩৭। এ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবুল কাশেম বলেন, তিন ঘণ্টায় ১৫ শতাংশ ভোট কাস্টিং হয়েছে।
আল মোস্তফা নুরীয়া মাদ্রাসার প্রিসাইডিং কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন বলেন, নারীদের আঙুলের ছাপে সমস্যা হচ্ছে। এতে ভোট গ্রহণে ধীরগতি হচ্ছে।
১ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামী রিসার্চ সেন্টার কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩ হাজার ৭৪২। এ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বলেন, সাড়ে ৩ ঘণ্টায় ২০ শতাংশ ভোট নেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনে মেয়র পদে মূল লড়াইয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী (নৌকা) ও দলের স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদ (নারকেলগাছ)। মাঠে থাকা অন্য তিন মেয়র প্রার্থী হলেন, জগদীশ বড়ুয়া (হেলমেট), জোসনা হক (মোবাইল ফোন) ও মো. জাহেদুর রহমান (হাতপাখা)। জোসনা হক নারকেল প্রতীক মাসেদুল হক রাসেদের স্ত্রী।