কাপ্তাই হ্রদের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় জেলে ও ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগ চরমে
কবির হোসেন:
রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই হ্রদের পানি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে জেলে ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগ চরমে। প্রচন্ড খরতাপে এবং বৃষ্টি না হওয়ায় ইতিমধ্যে কাপ্তাই হ্রদের পানি শুকিয়ে মরা হ্রদে পরিণত হয়েছে। হ্রদে পানির স্তর কমে যাওয়ায় কয়েক হাজার ব্যবসায়ীর কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গেছে। কয়েকটি উপজেলার সাথে নৌ যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ কাপ্তাই হ্রদ। এ হ্রদের ওপর নির্ভর করে দেশের একমাত্র কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদন, মৎস্য চাষ উৎপাদ, পর্যটন ,পার্বত্যঞ্চলের বাঁশ সরবরাহসহ বিভিন্ন কার্যক্রম ফলে সরকার কোটি,কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে থাকে। বর্তমানে হ্রদে পানি না থাকায় কয়েক হাজার ব্যবসায়ী ও জেলেদের দৈনন্দিন কাজে চরম ব্যাঘাত ঘটছে। কাপ্তাই হ্রদে মাছের, প্রজনন, বংশবৃদ্ধির জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিনমাসব্যাপী সকল ধরনের মাছ আহরণ ,বিক্রয়, শিকার নিষেধ থাকায় জেলেদের মড়ার ওপার খড়ার ঘাতে পরিণত হয়েছে।
কয়েকজন ক্ষুদ্র জেলে জানান, আমাদের সংসার কিভাবে চলবে। মাছ শিকারের ওপর নির্ভর করে আমাদের পরিবার পরিজন, ছেলে মেয়েদের পড়া লেখার খরচ চালাতে হয়। ব্যবসায়ীরা বলেন, পানির স্তর কমে যাওয়ায় সকল ধরনের ব্যবসা বন্ধ থাকায় দুর্ভোগ চরম আকার ধারন করছে।
ব্যবসায়ীরা দুঃখ ও ক্ষোভের সাথে বলেন, দীর্ঘ বছর অর্থাৎ ১৯৬০ সালের পর হতে যদি কাপ্তাই হ্রদ, ড্রেজিং বা খনন করা হত তা হলে আমাদের এ অবস্থা হতনা। শুনেছি হ্রদ কমিটি বার বার বৈঠক বসে এ হ্রদের খনন কাজের জন্য, কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, চা নাস্তা খাওয়া পর্যন্ত হ্রদের খনন কার্যক্রম শেষ হয়!