কুতুবদিয়ায় জমে উঠছে ঈদ মার্কেট, প্রাধান্য নারীদের পোশাক
কুতুবদিয়ায় ক্রমেই জমে উঠছে ঈদের কেনাকাটা। মার্কেটগুলোতে ভীড় চলছে নারী-শিশুদের। আর সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে দাম বাড়ছে নতুন জামা কাপড়ের। তবে এই বাড়তি দামে খুব একটা হতাশ নয় ক্রেতারা। এবার অনেকটাই ভালো দাম পেয়েছে লবণ চাষিরা। লবণের বাড়তি দামেই ঈদের বাজারে সাধ মিটাচ্ছে পরিবারের কর্তারা। উপজেলা সদর বড়ঘোপ বাজার ও ধুরুংবাজার ঘুরে দেখা গেছে এই চিত্র।
ধুরুং বাজারে ইরফান শপিং মলের মো. ইরফান বলেন, ১০ রোজার পর থেকে বিক্রি বাড়ছে। মেয়ে ও শিশুদের পোশাকই বেশি বিক্রি হচ্ছে। নতুন আকর্ষণে জারারা, স্কার্ট লেহেঙ্গা এসবই বেশি। ২ হাজার থেকে ৩৫০০ টাকা। দাম অতটা বাড়েনি বলেও জানান তিনি।
একই বাজারে কসমেটিক্স ব্যবসায়ী এম. হোছাইন লাইব্রেরির মোহাম্মদ হোছাইন, নেজাম স্টোরের মো. নেজাম বলেন, নারী-শিশুদের জুতা, সেন্ডেল বেশি বিক্রি হচ্ছে। কসমেটিক্স সামগ্রী এখনো খুব একটা বিক্রি শুরু হয়নি বলে জানান তারা।
বড়ঘোপ ডাকবাংলো মার্কেটের ড্রেস কেয়ার‘র টেইলার মাস্টার স্বপন কুমার শীল বলেন, রোজার শুরু থেকেই ঈদের নতুন কাপড় সেলাইয়ের অর্ডার হচ্ছে। তার দোকানে অর্ডারকৃত ৯০ ভাগ মেয়েদের থ্রি পিসসহ বিভিন্ন কাপড়ের অর্ডার হয়েছে বলে জানান তিনি।
বড়ঘোপ বাজারে আবিদ কালেকশন, কহিনুর বস্ত্র বিতান, চমক ফ্যাশন, একতা জুয়েলার্স এন্ড ক্লথ স্টোর, সততা ক্লথ স্টোর, মেডিকেল গেইটে এক্সপোর্ট কালেকশন প্রভৃতি দোকানে ঈদের কেনাকাটা ক্রমেই বাড়ছে বলে বিক্রেতারা জানান।
ধুরুংবাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজবাহুল আলম সিকদার বলেন, ঈদকে সামনে রেখে বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সুবিধার্থে বাজারের ভিতরে গাড়ি পার্কিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বাজারের নিয়মিত টহল ছাড়াও অতিরিক্ত নিরাপত্তা নজরদারি রয়েছে। বাজারে স্থাপিত সিসি ক্যামেরাগুলো আপাতত অচল বলে জানান তিনি।