‘কেএনএফের সঙ্গে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর সম্পৃক্ততা নেই’

সম্প্রতি পাহাড়ে নতুন করে জন্ম নেয়া সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সাথে অন্য ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন নৃগোষ্ঠী নেতৃবৃন্দরা।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে বান্দরবান শহরের অরুণ সারকী টাউন হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দরা এ কথা জানান।
কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট তাদের সংগঠনের সাথে তিন পার্বত্য জেলার বম, পাংখো, লুসাই, ম্রো, খুমী ও খিয়াং ছয়টি জনগোষ্ঠী জড়িত রয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন জায়গায় এরকম দাবি তোলার পর নৃগোষ্ঠী নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দরা বলেন, বম, পাংখো, লুসাই, ম্রো, খুমী ও খিয়াং জাতির নাম ব্যবহার করে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) কখনো ‘কুকি- চিন রাজ্য’, কখনো বা ‘খ্রিস্টান রাজ্য’ প্রতিষ্ঠার কথা তুলে ধরে এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তিকে বিরোধিতা করে জনমতকে বিভ্রান্ত করে বান্দরবান জেলায় জাতিগত বিভাজন তৈরির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা এই সশস্ত্র গ্রুপ গঠনের ক্ষেত্রে জড়িত নেই এবং এই সংগঠনের কার্যকলাপের সাথেও আমাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই।
নেতৃবৃন্দরা বলেন, কেএনএফ শুধু সশস্ত্র গ্রুপের কার্যকলাপের সাথে একতরফাভাবে বম, পাংখো, লুসাই, ম্রো, খুমী ও খিয়াং জাতির নাম ব্যবহার করছে না, তাদের আস্তানায় ইসলামী জঙ্গীদের আশ্রয় দেয়ার মাধ্যমে দেশে-বিদেশে এই জাতিসমূহকে সন্ত্রাসী জনগোষ্ঠী হিসেবে প্রতিপন্ন করে তুলেছে। এতে করে কেএনএফ বম, পাংখো, লুসাই, ম্রো, খুমী ও খিয়াং জাতির নিরাপত্তা, জীবন-জীবিকা এবং অস্তিত্বকে হুমকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। কেএনএফের সশস্ত্র তৎপরতা ও কার্যক্রম এবং ইসলামী জঙ্গী প্রশ্রয় প্রদানের নীতিকে সমর্থন করে না এই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা। এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর নাম জড়িত করে কেএনএফের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয়।
সচেতন নাগরিক সমাজের উদ্যোগে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক থানজামা লুসাই, জেলা পরিষদের সদস্য সিংইয়ং ম্রো, সিংইয়ং খুমি, খুমি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি লেলুং খুমি, খয়োং সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি ম্রাসা খেয়াংসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।