কেশবপুর খ্রিস্টান মিশনে নবম শ্রেণির ছাত্রী রাজেরুং ত্রিপুরার অস্বাভাবিক মৃত্যু


খ্রিস্টান আউটরিচ সেন্টার ফাউন্ডেশন অফ বাংলাদেশ কেশবপুর পৌর সাহপাড়া মিশনের রাজেরুং ত্রিপুরা (১৫) নামের ৯ম শ্রেণির ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে পৌরশহরের শাহপাড়া খ্রিস্টান মিশনে অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে। নিহত ছাত্রী বান্দরবন জেলার থানচি থানার কালুপাড়া গ্রামের রমেশ ত্রিপুরার মেয়ে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
থানা পুলিশ জানিয়েছে, বান্দরবন জেলার থানচি থানার কালুপাড়া গ্রামের রমেশ ত্রিপুরার মেয়ে রাজেরুং ত্রিপুরা (১৫) খ্রিস্টান আউটরিচ সেন্টার ফাউন্ডেশন অফ বাংলাদেশ (সিওসি) শাহপাড়া মিশনে থেকে লেখাপড়া করতো। গত ১৪ মার্চ সন্ধ্যায় খ্রিস্টান মিশনে প্রার্থনা চলছিল। তখন সে
বাথরুমের কথা বলে বাহিরে চলে আসে। অনেকক্ষণ অতিবাহিত হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বরত হোস্টেল সুপার জেসিকা সরকার বাইরে এসে রাজেরুং ত্রিপুরাকে খুঁজতে থাকে।
ওই সময় প্রতিষ্ঠানে অবস্থানরত সুরভী বিশ্বাস ও স্যামুয়েল বিশ্বাস হোস্টেল সুপার জেসিকা সরকারকে ডেকে বলে রাজেরুং ত্রিপুরার শয়নকক্ষ ভিতর থেকে বন্ধ রয়েছে। তখন মিশনের হোস্টেল সুপার জেসিকা সরকার চাবি দিয়ে দরজার লক খুলে ভিতরে ঢুকে দেখতে পায় জানালার গ্রিলের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় আছে। তাৎক্ষণিকভাবে হোস্টেল সুপার জেসিকা সরকার, রত্না মালাকার ও সুরভি বিশ্বাস রাজেরুং ত্রিপুরাকে নামিয়ে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে কেশবপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, খ্রিস্টান মিশনে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য নিহতের মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, উক্ত খ্রিস্টান মিশনারিতে ইতিপূর্বে আরো দুই ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। যার প্রকৃত কারণ আজও উদঘাটন হয়নি। ছাত্রীদের অভিভাবক স্থানীয় না হওয়ায় তদন্ত প্রতিবেদন শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখতে পায় না বলে অভিযোগ রয়েছে।