কোটার নেপথ্যে সমতা, নাকি সমতার নামে কোটা?


সরকার ২০২৪ সালের ২৩ জুলাই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও কর্পোরেশনের চাকরিতে কোটা পুনর্বিন্যাস করেছে। এতে নির্ধারিত হয়েছে- মেধাভিত্তিক ৯৩%, মুক্তিযোদ্ধা/বীরাঙ্গনার সন্তান ৫%, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ১%, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গ ১%। আইন অনুযায়ী এই কোটা সারা দেশে একভাবে প্রযোজ্য।
প্রশ্ন উঠেছে পার্বত্য জেলা পরিষদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন কোটা প্রযোজ্য হবে? এতে করে জেলা পরিষদ পাহাড়ি ও বাঙালি সদস্যের মাঝে তৈরি হচ্ছে মতবিরোধ।
পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন ধরে আলাদা কোটা চলে এসেছে। এখানে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বসবাস। জেলা পরিষদ এর আইনের নিয়মে, ২০২২ সালের জনসংখ্যা অনুপাতে নাকি নতুন প্রজ্ঞাপনের লক্ষ্য হলো মেধা ও যোগ্যতার অগ্রাধিকার নিশ্চিত করা হবে এটাই প্রশ্ন। একই সঙ্গে সংখ্যালঘুদের জন্য সীমিত সুবিধা রাখার বিধান কী হবে এবং কতটুকু হবে তাও সিদ্ধান্তে আসা প্রয়োজন।
পুরোনো পূর্ণ কোটা পুনরায় চালু করলে দক্ষতা, প্রশাসনিক কার্যকারিতা ও শিক্ষার মান ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং সমাজে বিভাজন বাড়তে পারে। সার্বজনীনভাবে এটি কার্যকর করলে দেশের সকল জেলা ও সম্প্রদায়ের জন্য সমান সুযোগ, স্বচ্ছ নিয়োগ ও প্রশাসনিক স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত হবে। জুলাই পরবর্তী সময়ে যদি আমরা সমতায় ফিরতে ব্যর্থ হই এর দায় আমাদেরই। তাই আমাদের সকলের উদ্যমী ও দায়িত্বশীল মনোভাব থাকা প্রয়োজন।
মনজিলা ঝুমা : আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট; সদস্য, পার্বত্য জেলা পরিষদ, খাগড়াছড়ি; জেলা প্রধান সমন্বয়ক ও কেন্দ্রীয় সংগঠক, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

















