খাগড়াছড়িতে নদী ভাঙ্গন পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক
সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় দুই মাসের ব্যবধানে খাগড়াছড়িতে পঞ্চমবারের মতো ভয়াবহ বন্যায় প্রায় লাখের অধিক লোক পানিবন্দি হয়ে পড়ে। পানিতে ডুবেছে প্রায় ২০ হাজারের অধিক পরিবার। বর্তমানে বন্যার পানি কমে স্বাভাবিক পর্যায়ে আসলেও চেঙ্গী নদীর পাড়গুলো ব্যাপক আকারে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে প্রায় শতাধিক পরিবার। যেকোন সময় বন্যার পরিস্থিতি ফের ভয়াবহ বন্যায় ভাঙ্গনে নদীর পাড়ে বসবাসরত পরিবারগুলো ব্যাপক ঝুঁকিতে পড়বে এবং বসতবাড়ি গুলো বন্যায় তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকালে খাগড়াছড়ির চেঙ্গী নদী পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান। এসময় জেলা প্রশাসক খাগড়াছড়ি জেলা সদরের গোলাবাড়ী ইউনিয়নের মারমা পাড়াসহ কয়েকটি এলাকার চেঙ্গী নদীর ভাঙ্গনের স্থানগুলো পরিদর্শন করেন। এছাড়াও পৌর শহরের বটতলী এলাকা হেডম্যান পাড়া, গোলাবাড়ি এলাকার রাজ্যমনি পাড়াসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে নদী ভাঙ্গনের শিকার এলাকাবাসীর খোঁজখবর নেন। সেইসাথে যত দ্রুত কাজ করা সম্ভব তা প্রদক্ষেপ নেওয়ার জন্য উন্নয়ন বোর্ডের প্রকোশলী মো. আরিফুর রহমানকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
এ সময় জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, পরপর বন্যায় এই এলাকার মানুষ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ফসলী জমি, রাস্তা-ঘাট, বসত ভিটা ধ্বংস হয়েছে। বর্তমান সরকার চাচ্ছে দ্রুত ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার জন্য।পরপর বন্যায় এই এলাকার মানুষ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ফসলি জমি, রাস্তা-ঘাট, বসতভিটা ধ্বংস হয়েছে। সরকার চাচ্ছে দ্রুত ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন।
তিনি আরও জানান, সে কারণে আমরা নদী ভাঙ্গাসহ সকল ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন করে পুনবাসন কার্যক্রম তাড়ম্বিত করার জন্য। আর চেঙ্গী নদী পরিদর্শনে আমরা এসে দেখি নদীর বেশ কিছু জায়গায় ভয়াবহ ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। সেকারণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে আসছি যাতে নদীর জায়গা সনাক্ত করে একটা সঠিক সিদ্ধান্ত দেওয়া যায়।
পরিদর্শনকালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও নব- নিয়োগকৃত পৌর প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা, খাগড়াছড়ি সতর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাঈমা ইসলাম, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এ. জেড. এম. নাহিদ হোসেন, পৌরসভার প্যানেল মো. শাহ আলমসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।