প্রশাসনের কঠোরতায়ও খাগড়াছড়িতে প্রবেশ ঠেকানো যাচ্ছে না


প্রশাসনের কঠোরতায়ও ঠেকানো যাচ্ছে না বাইরের লোকজনের খাগড়াছড়িতে প্রবেশ। মধ্যরাতে নানা পন্থায় খাগড়াছড়ি ঢুকে পড়ছে। ফলে খাগড়াছড়িতে রেড়েছে করোনাভাইরাস ঝুঁকি।
শুক্রবার(১০ এপ্রিল) ভোর রাতে খাগড়াছড়ি প্রবেশকালে ১০টি মাইক্রোবাসসহ শতাধিক শ্রমিককে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রশীদ জানান, শুক্রবার ভোর রাতে খাগড়াছড়ি শহরের বঙ্গবন্ধু স্কোয়ারে ১০টি মাইক্রেবাস তল্লাশী করে শতাধিক লোককে আটক করে হাসাপাতাল কতৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আটক শ্রমিকরা জানান, তারা ঢাকা,কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন ইপিজেডে কর্মরত ছিলেন। করোনাভাইরাসের ভয়ে তারা মাইক্রোবাস ভাড়া করে এসেছে।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার পূর্ণ জীবন চাকমা জানান, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা শ্রমিকদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অপর দিকে সিভিল সার্জন ডাক্তার নুপুর কান্তি দাশ জানান, কোয়ারেন্টিনে থাকা ১৬৩ বিদেশ ফেরতদের শরীরে করোনাভাইরাসের কোন লক্ষণ না পাওয়ায় তাদের সকলকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
শহরের বঙ্গবন্ধু স্কোয়ারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আজও গাড়ি প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ ও তল্লাশী চালাচ্ছে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কোন গাড়ি প্রবেশ ও বাহির হতে দিচ্ছে না। সেখানে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা জীবণু নাশক স্প্রে করছে। শহরে রয়েছে একাধিক ভ্রাম্যমান আদালত।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে খাগড়াছড়িকে পুরোপুরি লকডাউনের দাবী সচেতন মহলের।