খাগড়াছড়িতে ফুলের রাজ্যের স্বপ্ন বুনছেন তরুণ উদ্যোক্তা খালেদ মাসুদ সাগর
ফুলের রাজ্যের স্বপ্ন বুনছেন খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার তরুণ উদ্যোক্তা খালেদ মাসুদ সাগর। মানুষের মাঝে ফুলের সৌন্দর্য ছড়িয়ে দিতে পারিবারিকভাবে গড়ে তুলেছেন স্বপ্ন বিলাস ফ্লাওয়ার ভিলেজ।
যেখানে শোভা পাচ্ছে বাহারি রঙের নানা জাতের ফুলের সমারোহ। শুধু তাই নয়, ফুল দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে গেলে নিতে পারবেন বিশ্রাম। খেতে পারবেন চা, কফি ছাড়াও পছন্দের খাবার। কিনতে পারবেন বিভিন্ন দেশি-বিদেশি ফুল ও ফলের চারা।
এ তরুণ উদ্যোক্তার এগ্রো ট্যুরিজম নজর কাড়ছে ফুল প্রেমীদের। সাড়াও মেলছে বেশ। মানুষের মাঝে ফুলের সৌন্দর্য ছড়িয়ে দিতে ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগে বলছেন উদ্যোক্তা। খালেদ মাসুদের ফুলের বাগানে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে ১০ শ্রমিকের।
এক সময় ছিল পরিবেশ ধংসকারী ইটভাটা। এখন বাহারি রঙের দেশী-বিদেশী ফলের বাগান। জায়গাটি এখন দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর। তরুণ উদ্যোক্তা খালেদ মাসুদ সাগর এখানে গড়ে তুলেছেন স্বপ্ন বিলাস ফ্লাওয়ার ভিলেজ।
খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলার মুড়াপাড়ায় এই নার্সারি দেখে মনে হয় যেনো রঙিন ফুলের বাগান। মাত্র ৫০ টাকা দিয়ে টিকেট কেটে বাগানে প্রবেশ করলে মন ভরে যাবে যে কারো।
খালেদ মাসুদ সাগর ফুলের বাগানে পাহাড়ি জনপদের ঐতিহ্যকে প্রাধান্য দিয়ে রাখা হয়েছে পর্যটকদের জন্য সব সুবিধা।
তরুণ উদ্যোক্তা খালেদ মাসুদ সাগর জানালেন তার পরিকল্পনা ও স্বপ্নের কথা। পাহাড়ের মানুষের মাঝে ফুলের বিপ্লব ঘটাতে এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। ফুলের সৌন্দর্য ছড়ানোর পাশাপাশি খাগড়াছড়ি যেন ফুলকে ঘিরে অর্থনৈতিক অবদান রাখতে পারে সেদিকেই মূল লক্ষ্য বলছেন তিনি।
খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কিশোর কুমার মজুমদার বলেন, পর্যটন সম্ভাবনার জনপদ পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়ি। অন্যান্যা বিনোদন কেন্দ্র ছাড়াও ইকো ট্যুরিজমের একটি সম্ভাবনা রয়েছে। নতুন নতুন পরিকল্পনা নিয়ে আগাতে পারলে এটিও পর্যটন বিকাশের ভূমিকা রাখতে পারবে বলে মনে করছেন এই কর্মকর্তা।
পাহাড়ের বুকে এক টুকরো ফুলের স্বর্গরাজ্য নজর কাড়ছে সবার। দূরদূরান্ত থেকে আসছেন অনেকে। কেউ থামছেন যাত্রাপথে।